দিগন্ত ও ইসলামিক টিভির বিষয়ে সিদ্ধান্ত শিগগিরই
‘সাময়িক’ স্থগিত হওয়া দিগন্ত ও ইসলামিক টেলিভিশনকে সম্প্রচারের অনুমতি নাকি লাইসেন্স বাতিল করা হবে সে বিষয়ে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফকরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে ইনু এ কথা বলেন।
এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।
ইনু বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থান নিয়ে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম। দিগন্ত ও ইসলামিক টেলিভিশন সে সময় নিয়মনীতি উপেক্ষা করে কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠনটির ওই তাণ্ডব এমনভাবে সম্প্রচার করে যাতে সহিংসতাকে আরও উষ্কে দেয়া হয়। ফলে তাণ্ডবকারীরা ধ্বংসযজ্ঞে আরও বেশি উৎসাহিত হয়। ফলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে টিভি চ্যানেল দুটির সম্প্রচার সাময়িকভাবে স্থগিত করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। তাদের দেয়া নোটিশের উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। তাদের এসব ফুটেজ ও কার্যক্রম আমরা আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করছি। এটি এখনো চলমান। সে কারণে এ দুটি টিভি চ্যানেলকে আবার অনুমতি দেয়া হবে নাকি লাইসেন্স বাতিল করা হবে সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে খুব শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ২০০১-০৬ পর্যন্ত বিএনপি জোট সরকারের আমলে ৯টি টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স দেয়া হয়। এর মধ্যে চ্যানেল ওয়ান এবং সিএসবি চ্যানেল দুটির অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। বিএনপি ও জামায়াত সরকারের আমলে ২১৪টি পত্র পত্রিকারও ঘোষণাপত্র দেয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ইসলামী শাসন কায়েমের ১৩ দফা দাবি নিয়ে ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানী ঘেরাও করেছিল হেফাজত কর্মীরা। পরে সেদিন তারা শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয়। সহিংস বিক্ষোভে দিনভর ব্যাপক হাঙ্গামা হয়। হামলা হয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, সড়ক বিভাজকের গাছ কেটে আগুন ধরিয়ে দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্রে তাণ্ডব চালায় হেফাজত কর্মীরা। তাদের দাবি পূরণ না হলে শাপলা চত্বর না ছাড়ার ঘোষণাও দেয়া হয়।
ওই সময় পল্টন মোড় থেকে বায়তুল মোকারম মসজিদের চারপাশের বিভিন্ন ভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। একই সঙ্গে সংঘর্ষ ও সহিংসতাও চলতে থাকে।
এইচএস/এএইচ/জেআইএম