শুভজন পদক পাচ্ছেন সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম
‘শুভজন পদক ২০২৩’ পাচ্ছেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম। শুদ্ধধারার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শুভজন এ পদকে ভূষিত করছে তাঁকে। খুরশীদ আলমকে পুরস্কার হিসেবে নগদ দশ হাজার টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড, নির্দিষ্ট নকশার ব্রোঞ্জ ট্রফি এবং শংসাপত্র দেওয়া হবে।
সংগঠনের ১৩ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আগামী ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায় রাজধানীর পরিবাগের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে আয়োজনের মধ্য দিয়ে যুগপূর্তি উৎসবে তাঁর হাতে এ পদক তুলে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে তাঁকে ‘শুভজন’ উপাধিতে ভূষিত করা হবে।
খুরশীদ আলম বাংলাদেশের সংগীত জগতের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব। তিনি প্রায় পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। বেশিরভাগ গানই চলচ্চিত্রের। জনপ্রিয় হয়েছে অসংখ্য গান। ৫০ বছরের সংগীত জীবনে ৪২৫টির বেশি চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১৮ সালে তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করে। এ ছাড়া অসংখ্য সন্মাননা, পুরস্কার এবং স্বর্ণপদক পেয়েছেন।
‘মানবিক মানুষ চাই’—স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের সার্বিক উন্নয়নে সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্পকলা বা সমাজ বিনির্মাণের বিভিন্ন শাখায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশি বা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের প্রতি বছর ‘শুভজন পদক’ দেওয়া হয়।
শুভজনের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় নির্বাহী পর্ষদের কার্যনির্বাহী সভাপতি তরুণ রাসেল বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি একবার ‘শুভজন পদক’ পেলে তাকে পরবর্তীতে পদকের জন্য বিবেচনা করা হয় না। প্রাথমিকভাবে মরণোত্তর পদক দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত নেই। বিগত ১০ বছর ধরে এ পদক দেওয়া হচ্ছে।’
২০১৪ সালে প্রয়াত কবি আসাদ চৌধুরী, ২০১৫ সালে সাংবাদিক কামাল লোহানী, ২০১৬ সালে কবি কাজী রোজী, ২০১৭ সালে অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান, ২০১৮ সালে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মুস্তাফা মনোয়ার, ২০১৯ সালে অভিনয়শিল্পী সৈয়দ হাসান ইমাম, ২০২০ সালে সংগীতশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী, ২০২১ সালে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, ২০২২ সালে অভিনেতা ডা. এজাজুল ইসলাম শুভজন পদক গ্রহণ করেন।
এসইউ/জিকেএস