সুভাষ সরকারের দুটি কবিতা
স্বীকারোক্তি
নিজেকে হত্যা করা প্রতিদিন যতটা গদ্যময়,
ততটা কাব্যরূপ পায় না তার পিন্ডদানকালে।
যেহেতু মৃত্যু-গড়া হাত, এই হাতে স্বপ্নমুখ সাজাতে পারি না।
যেহেতু মিথ্যে আঁকি, যেহেতু অলীক লিখি, নিজেকে
সরিয়ে রাখি প্রতিবাদ, প্রতিরোধে।
আমরা কবিরা আজ বিদ্রোহের ডাক দিয়ে হাজারদুয়ারি ঘুরে আসি
নিরপরাধ বোধে!
****
ভবঘুরেদের নিয়ে
শ্মশানের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে কিছু ভবঘুরে। ওদের
ভোটার বা আধারকার্ড নেই।
আত্মীয়-স্বজনের চোখে মৃতবৎ ওরা।
পথেঘাটে এমন অসংখ্য এইসব অর্থহীন বেঁচে-থাকা।
এদেরই জন্মকালে উলুধ্বনি দিয়েছিল যারা
তারা কেউ আজ তাকিয়ে দেখে না এইসব ভবঘুরে কারা
শ্মশানের আশেপাশে কিংবা শহরের রাস্তায়
খালি পায়ে, পরনের হতকুৎসিত জামাগুলো ছেঁড়া।
এইসব নামগোত্রহীন ভিখিরি-জীবন আমাদের চোখে আগ্রহ-কাহিনি হয়ে
ওঠে না কখনো।
একমাত্র মৃত্যু হ’লে বেওয়ারিশ লাশের কিছু কঙ্কাল
পাচারে চালান হয়, বিক্রি হয় শুধু।
এসইউ/জিকেএস