মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালীর তিনটি কবিতা
প্রহরের অনুমিত দুঃখ
কেবল তুমিই দেখ না
অন্ধকারের ভেতরকার প্রগাঢ় বেদনা
সে-ও তো প্রহরের অনুমিত দুঃখ
কুহক রাত্রির বেদনা এখন জোছনার তরজমায়
শুধু কল্পনার পুরাণ
কুয়াশাগাহনে দূরের নদীতে
ঢেউ ভেসে যায় পারদের মতো
আর—
ভোরই গোধুলি পেরুতে
অপেক্ষায় থেকে থেকে নিয়ড়ে
টেনে নেয় অন্ধকারের নির্জনতা...
****
শব্দের চৈতন্য
একটা মেলোডিক বিকেল ডানায় মেখে
পাখিরা উড়ে
পালকে ফেরায় নীলাদ্রি ঢেউ
সবুজের ভাঁজে ভাঁজে গাঁথা প্রেম
জলজোছনার উষ্ণ সৌকর্যে
হেমন্তের প্রভাতে সুর বোনে নিসর্গ বাউল
শব্দের চৈতন্যে মজিলে রাজহংসী নদী
কথারা গান হয়ে ফেরে আর্দ্র ঠোঁটে...
****
বাজে চুম্বনের কলট্যুন
নৈঃশব্দ্যর গহীনে ব্যথার অথৈ ঢেউ
শব্দহীন নীরব হয়ে আছে অ্যান্ড্রয়েড নদী
ঠোঁটের কোলাজে তবু বেজে ওঠে
চুম্বনের কলট্যুন
জ্যোৎস্না ভাঙার মড়মড়ে
শান বাঁধে; নির্জন সংগীতের তানপুরা
এবং শামুকবৃক্ষ মগ্ন পাঠে মজে
ঐশ্বরিক তানধরায়...
এসইউ/জিকেএস