ভিডিও EN
  1. Home/
  2. সাহিত্য

অনিন্দ্য নূরের কবিতা

জ্যোৎস্না পোড়ার উপকথা এবং অন্যান্য

সাহিত্য ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:৪০ পিএম, ২২ মার্চ ২০২৪

জ্যোৎস্না পোড়ার উপকথা

একবুক জ্যোৎস্না নিয়ে পুড়ছে শহর—
প্রার্থনার দুয়ারে দুর্বিপাক অভিশক্তির বলয়।
কথাদের ভিড়ে শুধু নিখোঁজ সংবাদের ধ্বনি
শহর ভরা হৃদয়ে নীল মৃত্যুর আহাজারি।
পাঁজরে পাঁজরে শূন্য দালানে খোলা বাতায়ন
অতঃপর কুঁড়েঘর থেকে কংক্রিট তারপর—
সূর্যটাও ঝলসানো মাংসের মতো তীব্র রক্তাভাব।
দগ্ধ প্রাণ আর নগ্ন দেহ নিয়ে বেনামি
অনন্ত পথ হাঁটাদের নক্ষত্রের মতো অম্লান।
অন্ধ কালো ধোঁয়ার ঝড়ে কখনো কখনো
ভেসে আসছে তীব্র ঝরা ফুলের সৌরভ।

****

বিমূর্ত জলরং

সহস্র বর্ণোচ্ছটায় গন্তব্যহীন চিঠি আসছে প্রতিদিন—
আমাদের ফেলে আসা ধুলোমাখা পথের ঠিকানায়।
ক্যাফেইনের নেশায় অন্ধ চোখের নদীতে অট্টহাসি
অথচ—হৃদয় অন্তঃপুরে প্রচণ্ড সূর্যগ্রহণ
আঁধারে আঁধারে ডুবে গেছে মানবের প্রেম নগর।
করুণ দৃষ্টি ভ্রমের আবছা সন্ধ্যায় তুমি
নক্ষত্রের মতো সঙ্গীন একলা সারাবেলা।
পারিজাত পুষ্পের মৃদু ছায়া পড়ে মৃত্যুর মতো
তোমার ঝুলন্ত কাঠগোলাপের বারান্দায়।
কখনো ফেরারি সমুদ্রের নীল তরল গরল
আছড়ে পড়ে—নিষিদ্ধ উপাখ্যানের বালুকাবেলায়।
তোমার লাল টিপ সূর্যাস্তের মতো অস্ত গিয়েছে
শত রঙিন যন্ত্রণাকাতর বিছানার ক্যানভাসে।
‘একদিন পুরো আকাশটাই ঢেকে যাবে
শুভ্র স্বেত পবিত্র ফুলের কাফনের চাদঁরে’

****

পাপ-পুণ্যের চিরকুট

আমার আকাশের মতো অন্তহীন ডায়েরিতে
কত শত কাব্য-গল্প আর কাহিনিতে ভরে গেছে
মোহনীয় জীবন ভেলায় পার্থিব বৈতরণীতে।
কলমের বুক চিরে কালো কালিতে লিখে চলেছি
শত হাসি কান্না আর বিরহের শোকগাথা।
কবে থামবো জানি না—কলম ও নিঃশেষ হয় না—
মাঝরাতে আকাশে জ্বলজ্বল করে
আমার পাপ-পুণ্যের দগদগে চিহ্ন।
এবার না হয়ে অশ্রুজলে লেখি প্রভু—
‘ক্ষমা করো প্রিয়—
তোমায় জন্মান্তরের মতো ভালোবাসি’

এসইউ/জিকেএস

আরও পড়ুন