পরাজয় এবং অন্য কবিতা
পরাজয়
মানুষ কোন দিকে যাবে; ভাটায় না জোয়ারে?
যে তোমাকে নামিয়ে এনেছে পথের কিনারে:
অবশেষে বিজয় তো তারই হয়েছে পক্ষান্তরে।
তোমার অহংকারের চূড়ায় বসে আছে ঈগল;
বুঝে নাও মানুষের ক্ষোভ কত ভয়াবহ হন্তারক—
বন্দির হুংকারে যদিও কাঁপে না কারাগারের ইট।
কেননা মানুষের চেয়ে বড় কোনো ইমারাত নেই—
মানবপ্রাচীরের মতো সুরক্ষা নেই রাজপ্রাসাদেও;
তোমার পরাজয় ধেয়ে আসছে সুনামির বেগে।
মানুষ খুলে দিয়েছে আজ সবটুকু ধৈর্যের বাঁধ।
**
শেষ ইচ্ছা
কোনো এক অপূর্ণতা নিয়েই হয়তো বিদায় নিতে হবে;
করি করি করেও কাজটি কখনোই করা হবে না।
কাউকে বলাও হবে না আমার ইচ্ছাটা কী ছিল?
কাছের মানুষগুলো হয়তো নিজেদের ইচ্ছাকেই আমার বলে চালিয়ে দেবে:
তখন ধমক দেওয়ার আমি থাকবো না, চ্যালেঞ্জ করার কেউ থাকবে না।
পরকালেও হয়তো জানবো না, পৃথিবীতে আমার শেষ ইচ্ছা বলতে কী ছিল?
অথচ আমার শেষ ইচ্ছাই ছিল পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়া।
**
বেঁচে আছি ডালে-ভাতে
তোমার যেদিন গায়ে হলুদ; আমার সেদিন চাকরি হলো,
আমি ছুটছি স্টেশনে—হলুদ তোমার গাল ছোঁয়ালো।
কীই-বা এমন ক্ষতি হতো আর কটা দিন করলে দেরি,
আমি এখন একা একাই দুঃখগুলো করছি ফেরি—
তোমায় যেদিন তুলে নিলো; আমি ব্যস্ত কর্মস্থলে
নতুন কাজ, নতুন মানুষ—যাচ্ছি ভেসে কোলাহলে।
আমি এখন বড্ড একা; আশাহীন স্বপ্নহারা,
সারাটা দিন যাচ্ছি বয়ে—বিমর্ষতার রঙিন তারা।
এখন তুমি সুখেই আছো ব্যক্তিগত রাজ্যপাটে:
তোমার নাকি অনেক টাকা! পাড়ার কিন্তু সবাই জানে।
ব্যবসাপাতি জমছে ভালো, নাইট ক্লাব আর বারগুলোতে,
আমার এসব কিছুই তো নেই—বেঁচে আছি ডালে-ভাতে।
এসইউ/জিকেএস