নীলগিরিতে আফ্রোদিতি এবং অন্য কবিতা
নীলগিরিতে আফ্রোদিতি
শরৎমেঘ, পাখির ঝাপট স্নিগ্ধমেঘে নীলোৎপল
ওপারে মিজোরাম
মেঘের মধ্যে সরলরেখায় আমার হাতে তোমার হাত
ধূসর পাহাড়ের স্রোতে শুভ্রমেঘ
আফ্রোদিতি! আফ্রোদিতি!
সাদা সাদা মেঘে বহুমাত্রিক খণ্ড
স্তরে-স্তরে শুভ্রগিরি—যেন অযুত তাজমহল।
শ্রাবণপ্লাবন ওঠে এই হৃদয়ে
তোমাকে যে বাসি ভালো, তা-কি তুমি জানো?
স্বপ্ন জানে, এই নীলগিরিও জানে।
মিথ্যার ঘরে বসতি তোমার?
বেখেয়ালি-হাত না সচেতন-শব্দশ্রেণি কে বেশি বিশ্বস্ত?
****
হিজল ফুলের মতো আফ্রোদিতি
হিজল ফুলের মতো চোখে ভাসছে
রোদ ঝিলমিল আফ্রোদিতি।
আশ্বিনমোড়া নীল আঙিনায় ধবধবে মেঘ
সূর্যালোকে চাঁদ নেমে আসে
স্নিগ্ধ শ্যামল মেয়ে মুগ্ধ করলে।
মুক্তার ঝরনার মতো তোমার ওষ্ঠাধরে
মুখর উৎসাহ একবিন্দুতে মিলে যায়।
রজনীগন্ধা দাওনি, দিয়েছিলে শুভ্রমেঘ—
নীলাকাশে শুভ্রমেঘ যে আমি কত্ত ভালোবাসি!
লাজুক মেয়ে, নীলক্ষেতের মোড়ে
বিদায়ক্ষণে চোখে চোখ রেখেছিলে
বিপি বাড়িয়েছিল হৃৎকমলে ভোর অবধি।
এই চোখ না ওই মুখ—কে বেশি বিশ্বাসী?
বলো নন্দিনী।
****
ওয়াই জংশন
ঝাঁকড়া সৌন্দর্যের পাথুরে পথ
ওয়াই জংশন কিংবা বহুমুখী দিক
বিভ্রান্ত করছে আমাদের
টেনে নিতে চায় বিভিন্ন সৌন্দর্য
সাগর যেমন নদীকে টেনে নিয়ে যায় তার কাছে।
ওয়াই জংশনে বিভ্রান্ত হচ্ছি, কোনদিকে যাব?
থানচির দিকে? নাকি রুমার দিকে?
দুদিকেই পাহাড়, সবুজ, বহুমুখী সংস্কৃতি
সাঙ্গুও রয়েছে, ধুসরমেঘ, সাদামেঘ, শরতের নীল আকাশ...
কিন্তু বান্দরবানে ঠিক করেছিলাম নীলগিরি যাব!
আসলে আমরা তো সৌন্দর্যের প্রেমিক
সৌন্দর্যই আসল পূজারি।
এসইউ/জিকেএস