বাংলা একাডেমি পুরস্কারে যাদের সম্ভাবনা বেশি
দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কারের মধ্যে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার অন্যতম। ফলে কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে এ পুরস্কার নিয়ে আগ্রহ অনেক বেশি। প্রতিবছর বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার কারা পাচ্ছেন, এ নিয়ে জল্পনা–কল্পনা শুরু হয় আগে থেকেই। এমনকি পুরস্কার ঘোষণার পরও আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে।
জানা যায়, ২০২২ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হবে ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বইমেলার উদ্বোধনী মঞ্চে। আর এটি ঘোষণা হয় ২৫ জানুয়ারির আগেই। এরইমধ্যে পুরস্কার নিয়ে সাহিত্যপাড়ায় আলোচনা হচ্ছে। মনোনয়নদাতাদের নাম গোপন থাকলেও কাদের নামে মনোনয়ন যেতে পারে, তা নিয়ে চর্চা হচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এ বছর কবিতায় কবি ফারুক মাহমুদের বিকল্প নেই। সত্তর দশকের কবিদের মধ্যে তিনি ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সব কবিই এ পুরস্কার পেয়েছেন। ফারুক মাহমুদ ছাড়াও ময়ূখ চৌধুরী এবং জাহিদ হায়দারের নাম শোনা যাচ্ছে।
কথাসাহিত্যে ইসহাক খান, পারভেজ হোসেন এবং আহমাদ মোস্তফা কামাল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। প্রবন্ধ বা গবেষণায় জুলফিকার মতিন, ড. অনীক মাহমুদ এবং ড. সফিউদ্দিন আহমেদের নামও রয়েছে আলোচনায়।
অনুবাদে আলম খোরশেদ, ড. সফিকুননবী সামাদী এবং জিএইচ হাবীব, নাটকে ফরিদ আহমদ দুলাল এবং নিরঞ্জন অধিকারী, শিশুসাহিত্যে তপংকর চক্রবর্তী, আহমাদ মাযহার এবং সারওয়ার-উল-ইসলামের সম্ভাবনা বেশি।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় আবু সাঈদ খান এবং গাজী আজিজুর রহমান, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গবেষণায় ড. জালাল আহমেদ এবং ড. মিল্টন বিশ্বাসের নাম শোনা যাচ্ছে।
বিজ্ঞান বা কল্পবিজ্ঞানে মোকাররম হোসেন এবং ড. নিশীথ কুমার পাল, আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথা বা ভ্রমণকাহিনিতে ইকতিয়ার চৌধুরী এবং মিতালী হোসেন এগিয়ে রয়েছেন।
ফোকলোর বিভাগে ড. তপন বাগচীর নাম শোনা যাচ্ছে। কেননা গত তিন বছর ধরেই তার নাম আলোচিত হচ্ছে। তবে এবার তার বিকল্প কোনো গুরুত্বপূর্ণ নাম উঠে আসছে না। ফলে তার পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি মনে হচ্ছে।
সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত যাদের নাম আলোচনায় এসেছে; তারা প্রত্যেকেই পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি বিভাগে একজন বা দুজন করে পাবেন পুরস্কার। ফলে অন্যদের আশাহত হতে হবে। এটাই স্বাভাবিক। তবে পরে যে তারা পাবেন না, এমনটি নিশ্চিত করে বলা যায় না।
আবার এ আলোচনার বাইরেও অনেকে আছেন, যারা বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। ফলে আলোচনার বাইরে থেকেও যে কেউ পুরস্কার পেয়ে যেতে পারেন। তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবুও আশা করবো, যোগ্য ব্যক্তির হাতেই উঠুক যোগ্যতম পুরস্কার। আর যারা এ বছর পাবেন না, তারা অবশ্যই পরবর্তী বছরের জন্য অপেক্ষা করবেন।
এসইউ/জিকেএস