মুখোশ এবং অন্যান্য কবিতা
মুখোশ
মৃত্যু অনিবার্য
তাই নতুন জীবন পেলে বাঁদর হতে চাই।
মুখ খিঁচিয়ে নখরাঘাত করব
রক্ত ঝরাবো ওই মুখোশে
আলোর আড়ালের অন্ধকারের।
এই মুখোশই যত অশান্তির মূল
জলের স্থলের আকাশের।
****
একটি ভালো লাগা চুরি করছি
হঠাৎ-পাওয়া এক মহাকাব্য এলে অবশেষে
চাঁদটা সামনে নিয়ে দাঁড়ালে বারান্দায়
চুলগুলো ঠিক নেই—এলোমেলো
জলহাওয়ায় ওড়নার আঁচল বাজপাখি
রিসোর্টের রেলিং বরাবর।
নিচে সাগরের জলের চাঁদ চুরি
চাপা-উল্লাসে রবীন্দ্রসুর,
‘কেটেছে একেলা বিরহের বেলা আকাশ কুসুমু চয়নে
সব পথ এসে মিলে গেল শেষে তোমার দুখানি নয়নে’
অজান্তেই আমিও সুর ধরি,
‘দেখিতে দেখিতে নূতন আলোকে কি দিল রচিয়া ধ্যানের পুলকে
নূতন ভুবন নূতন দ্যুলোকে মোদের মিলিত নয়নে...’
ওই অপরিচিতাই আমার অদৃশ্য খুনি হবে—
খুনের আগেই জানালার ফাঁক গলিয়ে
একটি ভালো লাগা চুরি করছি ইচ্ছেমতো।
****
হেলেন হয়ো না
তোমার ঘনকালো চুল—রেশম-নরম, সুগন্ধি
এলোমেলো বাতাসে মাতাল গন্ধ
ঘ্রাণ ভাসে
পাল ওড়ায় ভালোবাসায়।
হেলেন হয়ো না তুমি!
না-না, বরং হলেই ভালো
তবে, আর একটি ভগ্ন-ট্রয় যেন সৃষ্টি না হয়।
এসইউ/জিকেএস