ইহিতা এরিনের তিনটি কবিতা
১. সানসিল্ক রোদ
বুঝতে পারি, তবু চুপ করে থাকি;
খুব কম কয়লাই হীরা হয়।
গাছেরা ঝরে ঝরে, মরে মরে কাঠ
বসতিজুড়ে মানুষের বর্জ্য, ময়লা ও কফ।
গাছের নিরাময় করবো বলে পা বাড়াই।
গাছের ডাক্তার যদিও জানা নেই,
থাকি ঠিক সেখানে; যেখানে চারাগাছ মাথা তোলে।
আহত শিরীষ উড়ে যেতে দেখেছি
কাঠপিঁপড়ের মরে যেতে থাকাও...
ময়লার স্তূপের ওপর রঙিন প্রজাপতি।
বুনোবাতাসের আঙুলে আঙুল রেখে
হেঁটে যায় সানসিল্ক রোদ।
২. যাপন
আধ-খোলা বীভৎস চোখের পাতা নিয়ে হাঁটি
মাছির চোখ দেখতে দেখতে ভুলেছি নিজের চোখ।
একটা ছায়া হাসে বৃত্তের ভেতর
ভালোবাসা নীরবে ঘামের মতো জন্মায়
প্রকৃতপ্রস্তাবে ঘাম হচ্ছে পৃথিবীর খামি।
চিনামাটির থালার মতো ভেঙে পড়ে চাঁদ
ভাঙনের শব্দে হারাই অথবা দাঁড়িয়ে থাকি নৈঃশব্দ্যের বাতাবরণে।
যে পাখিটি রোজ আসে; হৃদয়ের অলিন্দে বসে
সে পাখিটির চোখ হয়তো তুমি
আমি ও তুমির মধ্যে
একটা শব্দ সেতু।
৩. বিয়োগফুল
কহাকহির নামতা উড়ে গেলে সব ঠোঁট বিয়োগচিহ্ন।
যেসব ড্রইংরুম এককে যৌথ—যেন তারা নিঃসঙ্গ কফিন পেয়ালা।
প্রপিতার ব্যক্তিগত হাসপাতাল
বিছানায়
সকল নামের বিয়োগচিহ্ন
যোগ হয়—
প্রত্যেক নাম ফোটায় বিয়োগফুল।
সম্পর্ক,
বাগানের চিবুক থেকে খসে পড়ে লালের চিহ্ন।
মানুষ,
জন্ম থেকেই নিঃশেষ-বিভাজিত বিয়োগজীবী।
এসইউ/জিকেএস