ভিডিও EN
  1. Home/
  2. সাহিত্য

আরিফুল হাসানের বারোটি কবিতা

সাহিত্য ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:৫৫ পিএম, ১০ জুন ২০২২

অ-ডানার উড়াল

নিজেকে নষ্ট হতে দিয়ে, নষ্ট হতে দিয়ে
আমি ভুল পথে বাড়ি ফিরি রোজ।
পাপী বিনে কে বোঝে আর আগুনের উত্তাপ?

এই নিমগ্ন রাত্রি শেষে, যদি আমি আবার জেগে উঠি
তাহলে সন্ধ্যা ও সকালে, ভোরে ও দুপুরে
তুমি ঠিক পালকি সাজাবেই, পারলৌকিক খামে।

****

লবণ থেকে তুলে এনে দৃষ্টির বিভ্রম

তাবৎ সৌন্দর্যের মুখে চুনকালি মেখে
নিজেকে নষ্ট করেছি একান্ত স্বৈরাচারে।
দায়ী কে? অন্তিম বিচারে
ধরা পড়ে যাই
বেহায়া মানুষ এক ঘুণ-ছবি আঁকে।

****

দেখাও লাবণ্যে

ফুল কীভাবে ফোটে? পাখি কী করে গায়?
কোন অজানায়, নিজেরে হারায়
একটু ঘূর্ণিবায়ু?
তখন তার ধূলির আস্তরণে,
শাদা পানার মতো
কিছু শুকনো গবাদির খাবার
বিছিয়ে পড়ে থাকে মরানদীর বাঁকে
কোনো ফুল কখনো ফোটে না
কোনো পাখি কখনো গায় না।

****

একচল্লিশ কর্মদিবস রাতে

রাতে ঘুম থেকে উঠে তুমি ফানুস
কাচের খেলনা দেখো ভেঙে যায় আলগোছে
কী করে এমনতরো পাপের সত্য হলে?
কাচের মানুষ, হায় তুমি কাচের মানুষ,
ঠুনকো জীবন ধরে করো তুমি বাহাদুরি

****

সেটআপ অ্যা মার্জিনিটি

বিহাইন্ড দ্য রক
তুমি ঠিক যাযাবর হবে
একটি পথকে ডেকে বলবে
হাই-হ্যালো।
এ যেন অজানা শোনাবে
কেমন আক্ষরিক
ঠিক যেন ভোর হয়ে এলো
সূর্যের সাথে অন্ধকার কিছু।

****

নিয়ন আলো থেকে

যখন পা দুটো ক্লান্ত হয়
চেয়ারে বসে পড় দু’ পা তুলে
থাক তবে, আর যেয়ো না।
ও পথে কাঁটা, তবে তুমি ঘুণ
নিজেকেই কাটো চরকা কাটায়।
ঘোরো, ঘোরো তুমি মানুষ হে
যখন পা দুটো ক্লান্ত হয়
চেয়ারে বসে পড় দু’ পা তুলে।

****

একটি ক্ষণিকের বিস্মরণ

তবে তুমি লাবণ্য ভরপুর কর্পুর
উড়ে উড়ে একদিন শেষ হয়ে যাও
কোথায় যাও, কোথায় ফুরাও
হে মানুষ, দিনদিন আয়ু কই যায়?
ভাবো, ভাবলে ভালো থাকো
অন্যথায় তুমি ডুবে মরো সময়ের স্রোতে।

****

একটি আপেক্ষিক চশমা

মুখে যে লাবণ্যের কথা বললে
তা হলে চলুক চশমা, একটি ইন্দ্রিয়
মনে করো ক্যাটস আই
খুব বেশি ভুল হলে
তুমি ঠিক ক্ষমা করে দিও।

****

এখান থেকে অজানা

একটি কর্পোরেট সভ্যতার ওপার থেকে
অজানা এক ফাগুনকে চিঠি পাঠাতে গিয়ে
ইলেক্ট্রিক ডাকে পোস্ট করি কফিন।
বিবর্ণ লাশটি মাটিগন্ধহীন মরচে ধরে যায়।

****

কাফনের ওপার থেকে

একটি অন্ধকার কবরের ভেতর
নিজেকে বন্দি করি বারোমাস
ভুলে থাকা পাপ, একজন আজাজিল
সব সময় খুলে দিতে চায় কবরের মুখ
তবু ঘাসে গালিচার ভেতর
মাটি স্পর্শে মাটি হয়ে থাকি।

****

ক্লান্তির চিহ্নগুলো

অবাঞ্চিত অক্ষর আমায় কাছে ডাকে
কানে কানে বলে কথা, কত কথা
আমি এসবকে শুনতে কান পেতে রই
কী দিবসকে কী সকালে, সব সময় প্রশ্ন করি
মানবজন্ম আসলে ফানুস, তাহলে জীবন কি
এ এক তামাশা শুধু, প্রশ্নগুলো জানি
উত্তরও অজানা নয়, তবু ভুলে থাকি সব।

****

পিপাসা বর্ষা

বৃষ্টিকে বরণ করার বয়স আর নেই
একটু ভিজলেই জ্বর আসে
রেইনকোটের আড়ালে থরথর কাঁপি
বৃষ্টিদিনের আড়ালে দেহ ঝরে।
চোখের ওপর চশমা, বলিরেখা মুখে
শেভ করা গালে হাত বুলিয়ে
বলছি যে ভালো আছি।

এসইউ/জিকেএস

আরও পড়ুন