ভিডিও EN
  1. Home/
  2. সাহিত্য

মায়াবতী: পর্ব ৩২

মোহিত কামাল | প্রকাশিত: ০৪:৫৪ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

কথাসাহিত্যিক মোহিত কামালের মায়াবতী বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয় মনোবৈজ্ঞানিক উপন্যাস। সাহিত্যের শব্দবিন্যাসে তিনি ব্যবহার করেছেন মনস্তত্ত্ব, সমাজের আড়ালের চিত্র। মা প্রত্যক্ষ করেছেন, মেয়েরা নানাভাবে উৎপীড়ন ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়, সহজে মুগ্ধ হয়ে অবিশ্বাস্য পাতানো ফাঁদে পা দেয়। মায়ের একান্ত চাওয়া মেয়ে ক্যারিয়ার গড়ে তুলুক। বিধিনিষেধ আরোপ করেন মা। মেয়ে তখন মনে করে, মা স্বাধীনতা দিতে চায় না, বিশ্বাস করে না তাকে। মায়ের অবস্থানে মা ভাবছেন তিনি ঠিক। মেয়ের অবস্থানে মেয়ে ভাবছে, সে ঠিক। মায়ের ‘ঠিক’ এবং মেয়ের ‘ঠিক’র মাঝে সংঘাত বাধে। সংঘাত থেকে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়, ভুল করে বসে মেয়ে রিয়া। পালিয়ে যায় ঘর থেকে। এই ‘ভুল’ই হচ্ছে উপন্যাসের মূলধারা, মূলস্রোত। মায়াবতী পড়ে চিন্তনের বুননে ইতিবাচক গিঁট দেয়ার কৌশল শেখার আলোয় পাঠক-মন আলোকিত হবে। জানা যাবে টিনএজ সমস্যা মোকাবিলার কৌশল। জাগো নিউজের পাঠকের জন্য ধারাবাহিক প্রকাশিত হচ্ছে সাড়া জাগানো উপন্যাসটি—

ত্রিশ.
আজিমপুর সরকারি কলোনিতে ঢুকেছে রিয়ার গাড়ি। সঙ্গে আছে যেবু। পুনমের বাসায় যাচ্ছে তারা। কলোনিতে আছে ই টাইপ, ডি টাইপ, সি টাইপ, এফ টাইপ, জি টাইপ, এইচ টাইপ কোয়ার্টার। প্রথম তিন টাইপে থাকে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা। পরের তিনটা টাইপে থাকে, অধস্তন চাকরিজীবীরা। এসব জানত না রিয়া। যেবু আপা বুঝিয়ে দিলেন সব।

পুনমের বাবা সরকারি অফিসের একজন ছোট চাকুরে। ওরা থাকেন এফ টাইপে। কলোনির মূল গেট দিয়ে ঢোকার পর সামনে বিশাল এক মাঠ। কলোনির প্রায় সব ছেলে ওই মাঠে খেলাধুলা করে। মাঠের কোনায় আছে ব্যায়াম করার স্টিলের সেটিংস। দোলনা আছে। অনেক ছেলেমেয়ে খেলছে। ড্রেসের ধরন দেখে বোঝা যায়, নিম্ন রোজগারের মানুষ থেকে শুরু করে উচ্চ রোজগারের পরিবার বাস করে এখানে। কলোনির ভেতর রাস্তার মোড়ে মোড়ে ভ্যানগাড়িতে বিক্রি হয় সবজি, চটপটি, ঠ্যালাভ্যানে বিক্রি হয় কম দামের আইসক্রিম। ছেলেরা মাঠে পার করে দুরন্ত সময়। ধুলো-ময়লা মেখে মেখে ক্লান্ত হয়ে কম দামের আইসক্রিম খায় তারা। নানা ধরনের ফেরিওয়ালা ফেরি করে বেড়ায়। রাস্তাগুলো অপ্রশস্ত। এবড়োখেবড়ো হয়ে গেছে। পিচঢালা সৌন্দর্য নেই। কোথাও কোথাও গর্ত হয়ে আছে। বর্ষাকালে রাস্তায় পানি জমে থাকে। পাশের ড্রেনের দুর্গন্ধে বাতাস ভারী হয়ে থাকে। ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় না। দেখেই বোঝা যাচ্ছে ডাস্টবিন আছে, রাস্তার মোড়ে। প্রায় প্রতিটি ব্লকের ডাস্টবিনের ঘের-দেওয়াল ভাঙা। মানুষ এখনো কেবল ডাস্টবিনে ময়লা ফেলতে অভ্যস্ত না। এদিক-ওদিক ময়লা ফেলে। দুর্গন্ধ কোথাও কোথাও প্রকট। এসব দেখে রিয়া অবাক হতে লাগল।
যেবু বললেন, ড্রাইভার সাহেব, ডানে ঘোরেন।
একটা ভাঙা ডাস্টবিনের পাশ দিয়ে গিয়ে ডানে ঘুরে গেল গাড়ি।

ছয়তলা বিল্ডিংয়ের সামনে এসে দাঁড়াল গাড়ি।
বিল্ডিংয়ের দেওয়ালে হলুদ রং করা। রং ঠিক নেই। কোথাও কোথাও ক্ষয়ে যাওয়া সিমেন্ট বেরিয়ে আছে। বিল্ডিং ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে আছে পিডব্লিউডি। ঠিকমতো মেইনটেন্যান্স হচ্ছে বলে মনে হয় না।
যেবু বেশ অনেকবার এসেছে এ বাসায়। এ ধরনের পরিবেশে কখনো আসেনি রিয়া।
বিকেলের রোদ বেশ উজ্জ্বল। দিনের আলো অন্ধকারে ঢেকে যায়নি। তবু সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠতে গিয়ে মনে হলো চারপাশ অন্ধকার। কেমন বাজে গন্ধ নাকে ঢুকছে। অপরিচ্ছন্ন সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় চলে এলো ওরা।
দরজায় ডোরবেল আছে। ডোরবেল টিপে দাঁড়িয়ে থাকে দুজন।
দরজা খুলে দেয় ছোট্ট এক কিশোরী।
যেবুকে দেখে চেনে সে। খুশি হয়ে একছুটে চলে গেল ভেতরে। ভেতর থেকে ছুটে এলো পুনম। যেবুর সঙ্গে রিয়াকে দেখে অবাক হয়ে গেল। কী করবে বুঝতে পারল না। পুনম ছিল বিষণ্ন। একলাফে বিষণ্নতা পালিয়ে গেছে। বিস্ময়ভরা চোখে তাকিয়ে আছে। বিল্ডিংয়ের বাইরের অপরিচ্ছন্নতা দেখে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল রিয়ার। যেবু বুঝতে পেরেছিল। ভেতরে এসে মন ভালো হয়ে গেল ওর। ছোট বাসা। কিন্তু বেশ পরিচ্ছন্ন। ছিমছাম। গোছানো। ড্রয়িংরুমে দামি আসবাব নেই। যা আছে মোটামুটি চলে। পর্দা দামি না কিন্তু পর্দার হালকা নীলাভ রং মুগ্ধ করে রিয়াকে। এ সময় কিশোরীটি পাশে এসে দাঁড়ায়।
রিয়া জানতে চায়, কী নাম তোমার?
পেখম।
বাঃ! সুন্দর নাম তো।
পেখম খুশি হয় প্রশংসা শুনে।
কোন ক্লাসে পড়?
ক্লাস সেভেনে।
ভেরি গুড। রিয়া আবারও বাহবা দেয়।
রোল কত?
দুই।
কনগ্র্যাচুলেশন! রিয়া পিঠ চাপড়ে দেয়।

পেখমের কিশোরকাল ঘরে বসেই কাটে। বাইরে তেমন বেরোতে পারে না। চারপাশের বখাটেদের অত্যাচারে কিশোরকাল গৃহবন্দি হয়ে গেছে কখন, জানেই না সে। বাইরের জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। স্কুলে যাওয়ার সময় কেবল বের হয়। ফেরার সময় চারপাশ থেকে চলে টিজিং। চোখ নিচু করে বাসায় ঢোকার পর বন্দির মতো লাগে। বাসায় কেউ এলে তার আনন্দ হয়। এখন খুশিতে নেচে উঠেছে তার মন।

এ বাসায় বিত্তের ছড়াছড়ি নেই। মনে হলো ছড়াছড়ি আছে মায়ার। কৃত্রিম না। সবকিছুই মৌলিক। ঘরের পরিবেশ দেখে মনে হলো এ বাসায় সবাই পড়ুয়া। পড়ার টেবিলগুলো ঝকঝকে। বইগুলো সাজানো। বারান্দার ব্যালকনিতে টবে লাগানো আছে বেলিফুল গাছ। ফুলের গন্ধ বাসার ভেতরের আবহ পাল্টে দিয়েছে। কলোনির বাইরের রূপ আর ভেতরের রূপের মধ্যে এক হাজার মাইল দূরত্ব দেখল রিয়া।
পুনম আপা, আমাদের প্রোগ্রামে এলেন না যে?
রিয়ার প্রশ্ন শুনে মুখ নত হয়ে গেল। আবার মুখ তুলে বলল, না-গিয়ে ভুল করেছি। এখন বুঝতে পারছি ভুলটা। দেরিতে হলেও তোমাকে কনগ্র্যাচুলেশন!
ধন্যবাদ আপনাকে।
যেবু আপা বলেছিল আপনার মন খারাপ। মন খারাপ হলে মনের ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত, জানেন?
জানি। তবে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সাহস নেই। সবাই ভাববে, পাগল হয়ে গেছি।
মিথ্যা কথা। এটা ভুল ধারণা। মনে কষ্ট পেতে পারি আমরা, আঘাত পেতে পারি, দেহে আঘাতের চেয়েও কঠিন যন্ত্রণায় চোট পেতে পারে মন। এসবের চিকিৎসা আছে। বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে কেন আমরা সাহসী হব না?
আমার আঘাতটা মনে না, সম্মানে।
আপা, আপনি আমার চেয়েও বয়সে বড়। আমার চেয়ে বেশি জানেন। এটাও জানেন, মান-অপমানের সঙ্গে জড়ানো আছে ইগো, অহমিকা, অহংকার। ইগো হচ্ছে মনের গড়নের শক্ত একটা পিলার। অপমানিত হওয়া মানে ইগো ভেঙে যাওয়া। মন ভেঙে যাওয়া।
পুনম মুগ্ধ হয়ে শোনে রিয়ার কথা। কেবলই অসম্ভব তেজি এক মেয়ের সামনে বসে আছে বলে মনে হলো না, মনে হচ্ছে মনের ডাক্তারের সামনে বসে ইন্টারভিউ দিচ্ছে ও।
যেবু উঠে গেল ভেতরে। পেখমও চলে গেছে যেবুর সঙ্গে। ভেতরের ঘরে আছেন খালাম্মা, খালাম্মার সঙ্গে গল্প জুড়ে দিলেন তিনি।
রিয়া জানতে চায়, যেবু আপা বলেছে, চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কী এমন ঘটনা ঘটল যে চাকরি ছেড়ে দিতে হবে?
রিয়ার কণ্ঠে আছে তেজ? কেন এই তেজ? কেন প্রশ্ন করছে ও তাকে? ভাবতে থাকে পুনম। তবে কি রবীন্দ্রনাথের ওই বাণীটাই সত্য, ‘আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা’।
রিয়া কি তাকে বাঁচাতে এসেছে? ভাবে পুনম।
ভাবনার জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে নরম কণ্ঠে বলল, আমাদের মতো মেয়েদের চাকরি করা কঠিন।
কত মেয়েই তো চাকরি করছে। সবার কাছে কি কঠিন? পুনমের কথা লুফে নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করল রিয়া।
সবার কাছে কঠিন হবে কেন? কারোর কাছে কঠিন হতে পারে। এই যেমন আমি, চাকরি ধরে রাখতে হলে ইমিডিয়েট ঊর্ধ্বতন বসের কথামতো চলতে হবে। নইলে চাকরি থাকবে না।
অফিসিয়াল কাজে তো বসের কথা শুনতে হবে। বস ইজ অলওয়েজ রাইট। এটাই তো অফিসিয়াল ফরমুলা।
পুনম বোঝে, রিয়া তেজস্বী মেয়ে হলেও জীবনের সব চিত্র দেখেনি। একটা ঘটনা দেখেছে। দেখে শক্ত হয়েছে। নিজেদের আভিজাত্য ও বিত্তের কারণে সমস্যা মেটাতে পেরেছে। সবার সবকিছু মোকাবিলার ক্ষমতা সমান না। এই যেমন নিজের অবস্থা। চাকরি বাঁচাতে হলে ইগোর দরজা খুলে দিতে হবে, চাপের কাছে ভেসে যেতে হবে। সব কি সম্ভব? তারুণ্যে প্রতারিত হয়েছে। বিশ্বাসের কাছে হেরেছে। ভালোবাসার মানুষের কাছে হেরেছে। সব উজাড় করে দিয়েও ভালোবাসা ধরে রাখতে পারেনি। প্রেমিক-পুরুষ ইচ্ছামতো সব কেড়ে নিয়েছে। নিজেকে তুলে দিয়ে প্রেমিককে ধরে রাখতে চেয়েছে। ধরে রাখতে পারেনি। চাকরি ধরে রাখতে হলেও কি সব তুলে দিতে হবে? চাকরি ধরে রাখা যাবে? মনে হয় না। মনে হয়, মেয়েদের বিপদ পায়ে পায়ে হাঁটে। তারা গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়, সবাইকে সব বলা যায় না।
পুনম বলল, তুমি বুঝবে না রিয়া। অফিসিয়াল ফরমুলার বাইরেও ফরমুলা তৈরি করে, নারী লোভীরা দেহের জন্য ফাঁদ পাতে। সেই ফাঁদে অফিসিয়াল রুলস থাকে না। সেই ফাঁদে থাকে নারীদেহ, নারীর লাবণ্য। নারীর রূপ-গুণ বড় কথা নয়। বড় কথা হচ্ছে ভোগ। নারী ভোগ। সবাই একরকম হবে, সে কথা বলছি না। কেউ কেউ ভালো। কেউ কেউ প্রেমের ফাঁদে ফেলে। কেউ কেউ বিত্তের লোভ দেখায়। চাকরি খেয়ে ফেলার ভয় দেখায়। দেখিয়ে মেয়েদের বিছানায় নিয়ে যায়। পুনমের ভেতরের ক্ষোভ বাইরে বেরোতে থাকে। ভেতরটা ধরে রাখতে পারছে না। অকপটে সে বলে যেতে থাকে রিয়াকে।

রিয়ার তেজ কমে আসে। তেজস্বিনীর আলো নিভে গেল। এরকম অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচয় নেই তার। এরকম পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দিতে হবে, কী বলতে হবে জানা নেই। চুপ হয়ে গেল ও।
পুনম বলল, আমি হেরে যেতে চাই না, রিয়া। জয়ী হতে চাই। জয়ী হতে হলে নিজেকে ঠিক রাখতে হবে। এ বোধ আমার হয়েছে। নিজের শক্ত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে। তবেই সব অনাচারের জবাব দেওয়া যাবে। এখন যাবে না। এখন আমরা অনেক দুর্বল।
কথা শেষ হওয়ার পরই রুমে ঢোকেন পুনমের মা। যেবু এবং পেখমও আছে সঙ্গে। মায়ের হাতে ট্রে। ট্রেতে চারটা গ্লাস। গ্লাসে লেবুর শরবত।
নাও মা। শরবত নাও। শুনেছি, তুমি ভালো রেজাল্ট করেছ। শুনে খুব খুশি হয়েছি, নাও শরবত নাও।
শাশ্বত বাঙালি নারী, শাশ্বত মাতৃত্ব, শাশ্বত মায়া নিয়ে সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন। মুগ্ধ হয়ে তাকাল ও। হাত বাড়িয়ে গ্লাস তুলে নিয়ে মুখে কোনো কথা না বলে, যেবু আপাকে ইশারা করে, পেখম ও পুনম আপাকেও পান করার জন্য ইশারা করল। নিজে এক চুমুকেই শেষ করল পুরোটা শরবত।
আপনার শরবত খুব ভালো হয়েছে। স্বস্তি নিয়ে বলল রিয়া।
অনেক বড় হও মা। ব্রিলিয়ান্ট রেজাল্টের মর্যাদা রেখো তুমি। দোয়া করছি আমি।
রিয়া বলল, আপনার দোয়া মনে থাকবে ভালো আন্টি।

তিনি চলে গেলেন ভেতরে।
পেখম এসে রিয়ার পাশে বসে। রিয়া ওর চুলে হাত বুলিয়ে আদর করে দেয়। পেখমের লাবণ্য ফুটে ফুটে বেরোচ্ছে। চোখ চিকচিক করছে। পড়ালেখায় ভালো ও। এমন মেয়ে কি নির্বিঘ্নে পাড়ি দিতে পারবে সামনের কঠিন দিন? ভাবতে গিয়ে শিউরে ওঠে রিয়া। এলাকার বাইরের পরিবেশ তার চোখে ভালো ঠেকেনি।
যূথীর মতো চোরাবালির ফাঁদে জড়িয়ে যাবে না তো ও!
মনে শঙ্কা জাগে। মুখ ফুটে কিছুই বলতে পারল না ও।
পুনমের দিকে তাকিয়ে রিয়া বলল, আপা আপনার একটা সিভি আমাকে দেবেন?
পেখম প্রশ্ন করল, সিভি কি আপা?
সবাই হেসে ওঠে। রিয়া জবাব দেয়, সিভি মানে কারিকুলাম ভিটা, জীবন-বৃত্তান্ত বা বায়োডাটা।
ওঃ!
কী হবে ওটা দিয়ে?
দেখি, আপার জন্য একটা চাকরি জোগাড় করা যায় কি না। চাকরির জন্য সিভি জমা দিতে হয়।
যেবু সঙ্গে সঙ্গে লুফে নিলো রিয়ার কথা।
খুউব ভালো হবে রিয়া। একটা নিরাপদ জায়গায় যদি ওর চাকরির ব্যবস্থা করা যায়, খুউব উপকার হবে।
রিয়া বলল, বাপিকে বলব। আমি বললে অবশ্যই আপার চাকরি হবে।
পেখমের মন খুশিতে নেচে ওঠে।
পুনমের মনে সাহস জাগে। মুখের বিষাদ ফুঁড়ে বেরিয়ে এসেছে স্বস্তি।
বান্ধবীর মুখের মেঘ কেটে গেছে!
যেবুর মনেও স্বস্তি ফিরেছে।
এক আলোবতী এসেছে ওদের ঘরে। এসে ঘরের মেঘ সরিয়ে দিয়েছে। ঘরে ফুটে উঠেছে আলো। আনন্দ আলোয় রিয়া দেখছে পেখমকে। দেখছে পুনমকে। ভালো লাগছে তার। এই ভালো লাগার জন্য সব করতে পারবে রিয়া।

চলবে...

এসইউ/এএসএম

আরও পড়ুন