প্রজ্ঞা পরবর্তী মানুষ
মো. আরিফুল হাসান
আক্কাস ও আলমাস দু’গাঁয়ের দুই ব্যবসায়ী। বাজারে তাদের দোকান। তাদের দোকান আগুনে পুড়ে গেল; দোষ পড়লো নাবলু ও তার ভাইয়ের ওপর। নাবলুরা মোট চার ভাই, বড় ভাই বৃহস্পতিগঞ্জে কামারপাড়া দোকানের পাশে দোকান দিয়েছে। এ নিয়ে ঝগড়া রোজ। কামারদের লোহার ঠুংঠাং, হাঁপড়ের ভ্যাসভ্যাস ধ্বনি নাবলুর বড় ভাইয়ের কানে বিষ লাগে। একটা কথা পর্যন্ত ঠিকমতো বলা যায় না। শালা যতসব কামারের দল। কামারের দলেরা দোষারোপ করে নাবলুর ভাইকে। বৃহস্পতিগঞ্জের তেলের দোকানের দরকার কী? শালা, যতসব! আগুন-হাঁপড়ের কাছে তেলের দোকান দিছে; কখন কী দুর্ঘটনা হয় কে জানে!
যা-ই হোক, বাজারের লোকেরা তেলের দোকান আর দা-কাস্তের দোকান দুটোকেই গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। নাবলুরও দোকান আছে বাজারে। বাজারের পূর্ব পাশে, যেখানে পেঁপে গাছের ডালে কেউ একজন ছেঁড়া জুতা একখান টাঙিয়ে রেখেছে। নাবলু দোকান খুলতে খুলতে খিস্তায়, শালা, কোন শুওর জানি দোকানের সামনে ছিঁড়া সেন্ডেল ঝুলাই দিয়া গেছে। শুওরের বাচ্চাদের কোনো কাম-কাজ নাই। তারপর সে দোকানের সাঁটার খোলে। পেঁপে গাছ থেকে জুতাটা ফেলে দিতে দিতে আরেকবার অদৃশ্যের প্রতি গালি দ্যায়।
নিয়াজ মোর্শেদ হন্তদন্ত হয়ে নাবলুর দোকানে আসে। ভাই, অক্ষণই শহরে যাইতে হইবো। দয়া কইরা আমার কাজটা কইরা দেন। নাবলু মুখ ভাড় করে স্ক্যানার দিয়ে নিয়াজ মোর্শেদের আনা কাগজগুলো স্ক্যান করে এবং ফটোশপে গিয়ে স্ক্যান কপিটিতে সংশোধন বসায়।
এমনি স্ক্যান করে এডিটের পর প্রিন্ট করালে প্রতি স্ট্যাম্পে নাবলু নেয় সত্তর টাকা। সেটি স্টাম্পের দামের বাইরে। কিন্তু নিয়াজ মোর্শেদ এলে সে একটু বেশিই নিতে পারে। প্রতি স্ট্যাম্প দেড়শ টাকা করে হয়ে যায় তখন। নাবলু জানে, শালা নিয়াজের বাচ্চা যতসব জালজালিয়াতির কারবার করে। সুতরাং তার কাছ থেকে বেশি নিলে কোনো গুনাহ নাই। নিয়াজ মোর্শেদ ভাব জমানোর চেষ্টা করে। ও নাবলু ভাই, এট্টু তাড়াতাড়ি করো। নাবলু হাত চালায়। প্রিন্ট হয়ে গেলে নিয়াজ মোর্শেদ এবার আরেকটি আব্দার করে। এইখানে একটা সই কইরা দেন। আমি কেনে সই করমু নিয়াজ ভাই? বিরক্তি নিয়ে প্রশ্ন করে নাবলু। ভাই বইলা। একজন সাক্ষী খুঁইজা পাইতাছি না। দয়া কইরা একটা স্বাক্ষর দেন। ভাই, আমি এইসব ঝামেলার মইধ্যে নাই। প্লিজ, মাফ করেন।
নিয়াজ মোর্শেদ ছাড়বার পাত্র নয়। বাইলবুইল দিয়ে, হাতে পায়ে ধরে শেষমেষ নাবলুকে দিয়ে সইটা করিয়ে নেয়। বলে, সাত হাজার টেকা মাটি হইবো নাবলু ভাই, আপনে যদি দয়া না করেন, একখান সাক্ষীর অভাবে আমি হাইরা যামু। আপনাকে কোটে যাইতে হইবো না। খালি একটা সই দিয়া দেন। নাবলু ভাবলো, গাঁও-গেরামের মানু, দেই না একটা সাইন। এতে যদি দুই পয়সা রোজগার করতে পারে নিয়াজ, তো করুক না। নিয়াজ আবার আরেকটা জালও বিছিয়েছে। মামলা জিতলে আপ্নের এক হাজার। এই নেন, সত্যি কইলাম। বলে পকেট থেকে পাঁচশ টাকার একটা নোট বের করে নিয়াজের হাতে গুঁজে দেয়। ধরেন, মামলাটা আমরা জিত্তাই রইছি। এই খালি একটা সাক্ষীর অভাবে কাজটা হইতেছিল না। নাবলু সকাল সকাল পাঁচশ টাকার গরম নোট পেয়ে সইটা করে দেয়।
পরদিন থানা থেকে পুলিশ আসে নাবলুর দোকানে। এ প্রসঙ্গে অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করে। নাবলু উত্তর দিতে পারে না। সন্দেহভাজন মনে করে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। থানা থেকে নাবলুর বড় ভাইকে ফোন করে। একটা মিথ্যা সাক্ষীর দায়ে আপনার ভাইকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। দয়াকরে আসুন।
নাবলুর ভাই তেলের ডিলার। ইতান কি তার ভালো লাগে? সে গোমরা মুখে দোকান থেকে বেরোয়। শাহাদাতকে ক্যাশের চাবিটা ধরিয়ে দিয়ে বলে। ভাঙতি উত্তরের সাইডটাতে আছে। দোকান ছাইড়া কোথাও কিন্তু যাবি না।
এক বাজারে দোকান হলেও পুলিশ কখন এলো, কখন নাবলুকে ধরে নিয়ে গেল অনেকেই টের পেলো না। বড় বাজার। বড় মানে বড়। মস্ত তার পরিসর। সাতটি গলিজুড়ে শুধু সবজিই ওঠে। মাছও ওঠে তিনটা গলি ভরে। লোকে লোকারণ্য থাকে প্রতি হাটবার। উয়াটবারেও বসে সকালের আড়ৎ। দু’প্রান্তে দু’জন ভাই দোকানদারি করলেও এ প্রান্তের খবর সহজে ও প্রান্তে পৌঁছে না। তাছাড়া পুলিশ এসে বেশি সময়ও নেয় না। দুয়েক মিনিট আলাপের পরই নাবলুকে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
থানায় গিয়ে নাবলুর বড় ভাই সবিস্তারে সব জানতে পারে। নাবলু কেঁদে-কেটে ভাইয়ের কাছে অনুরোধ করেছে তাকে মুক্ত করতে। নাবলুর বড় ভাই পুলিশকে সত্যটি বোঝানোর চেষ্টা করে। পুলিশ অত সহজে বোঝে না। বলে, নিয়াজ মোর্শেদকে নিয়া আসেন। সে সাক্ষী দিলে নাবলুরে ছাইড়া দিমু।
কিন্তু নিয়াজ মোর্শেদকে পাবে কোথায়? ঘটনার দিন মামলা হেরে গিয়ে আদালত থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে। বাড়ি এলে চেয়ারম্যানের লোকেরা তাকে চ্যাং-দোলা করে পেটাবে। মেরেও ফেলতে পারে হয়তো। সে ভয়েই সে আত্মগোপন করেছে। অথবা সত্যিই তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। লাশটা কোথাও গুম করে রেখেছে চেয়ারম্যানের দুর্বৃত্তরা।
নিয়াজ মোর্শেদ পেশায় একজন মামলাবাজ। শহরের বেশকিছু উকিলের সাথে তার জানাশোনা। গ্রাম থেকে মামলা নিয়ে গেলে সেও দু’চার পয়সা পায়। এই দিয়েই তার জীবন চলে। মানুষও বিপদে আপদে মামলা-মোকদ্দমা করতে তার দ্বারস্থ হয়। কিন্তু অনেকেই জানে, সে আসলে একটা চিট মানুষ। তবু মানুষ আসে। ঝগড়া-ফ্যাসাদ লেগে আসে পক্ষ-বিপক্ষ। নিয়াজ মোর্শেদ দু’দলের কাছ থেকেই টাকা খায়। খায়া কারো কাজ করে, আবার কারো কাজে ফেল মেরে গা ঢাকা দেয়। গা ঢাকা দিলে তাকে আর তিন-চার মাস পাওয়া যায় না। লোকে বলে, বডারের ওইপাড়ে তার একটা শ্বশুরবাড়ি আছে। সে মূলত এই পলাতক সময়টা সেইখানেই থাকে। যা হোক, এবার সে ফেঁসে গেছে বড়ভাবে। স্বয়ং চেয়ারম্যানের সাথে গণ্ডগোল।
মামলা নিয়েছিল প্রতিবেশী গ্রাম আলমপুরের আলমাস মিয়ার পক্ষ থেকে। মামলার বিবাদী স্বয়ং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান একদিন লোকমারফত নিয়াজকে ডেকে নিয়ে বলেছে, আমার সাথে লাগতে যাইস না নিয়াইজ্জা। কাজটা তাইলে ভালা হইব না। নিয়াজ মোর্শেদ ‘জ্বি চেয়ারম্যান সাব’ বলে বের হয়ে আসে। বের হয়তো বের হয়। ওই বের হওয়াই মাত্র। বের হয়ে আর চেয়ারম্যানের কথা মনে থাকে না। আলমপুরের আলমাস মিয়ার কাছ থেকে সত্তর হাজার টাকা নিয়ে উকিলকে দেয়। এর থেকে সে দু-চার-পাঁচ হাজার টাকা মেরে দেয়। বুঝলেন তো স্যার, গ্রামের মানুষ টাকা দিতে চায় না। বড়ই কঞ্জুস। উকিল তার দিকে সন্দেহের চোখে তাকায়।
মামলাটা জায়গা-জমি নিয়ে। দু’গ্রামের সীমানার কাছাকাছি বাহাত্তর শতাংশ জমি আলমাস মিয়ার নামে। অথচ ভোগ করে চেয়ারম্যানের আপন ভাতিজা আক্কাস। এই নিয়ে অবশ্য দু’গাঁয়ের মধ্যে প্রায়ই কলহ হয়। কিন্তু চেয়ারম্যানের লোক বলে আলমাস মিয়া পেরে ওঠে না। শেষে উপায়ন্তর না দেখে নিয়াজ মোর্শেদের দ্বারস্থ হয়। নিয়াজ মোর্শেদ চেয়ারম্যান গঙের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষী দাঁড় করাতে পারে না। আলমাসের আপন খালাতো ভাই শুনানির দিনে আদালত থেকে পালায়। সেই রাঘববোয়ালের সাথে যুদ্ধে নাবলু বিনা দোষেই প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে পড়ে।
নাবলুর বড় ভাই চেয়ারম্যানের হাতে-পায়ে ধরে কান্নাকাটি করে। কাজ হয় না। এজহারে তো নাম লেখাইছে। সত্য না মিথ্যা বুঝুম ক্যামনে? সইডাও কি নকল করন যায়? নাবলুর বড় ভাই কিরা-কসম কেটে আল্লাহর নামে শপথ করে বলে, নাবলুরে ফাসানো হইছে। চেয়ারম্যানের আধা বিশ্বাস হয়, আধা হয় না। নাবলু তো ছোট মানুষ না। ইন্টার পাস করে কম্পুটারের দোকান দিছে। এজহার না পইড়া সে এতে স্বাক্ষর দিলো ক্যামনে? বড় ভাই আবারও ছোট ভাইয়ের বেখেয়ালির জন্য অনুতাপ প্রকাশ করে। চেয়ারম্যান বলে, আইচ্ছা যা। দেখি কী করা যায়। কিন্তু চেয়ারম্যানের মতিগতি বোঝা যায় না। লোকে বলে, হেতের দাঁতে বিষ। কখন কারে ছোবল মারে টের পাওন যায় না।
নাবলুকে ছাড়িয়ে আনতে নাবলুর ভাই দৌঁড়ের উপর থাকে। এদিকে তার ব্যবসাপাতি দোকানপাট সব পড়ে থাকে। পড়ে কি আর থাকে? পড়ে পড়ে ক্ষয় হতে থাকে। দোকানের যে কর্মচারী ছেলেটা, দু’চার সপ্তাহের ভেতরেই সে লালবাত্তি জ্বালিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে নাবলুর দোকান লুট করে চেয়ারম্যানের ছেলেরা। বড় অসহায় বোধ করে নাবলুর বড় ভাই। এত কিছুর পরেও যদি ছোট ভাইটাকে ছাড়ায়া আনতে পারতো তাও মনকে বুঝন দিতো। কিন্তু কী করবে এখন? ছেচল্লিশ দিন পর দোকান খুলে নিজের দোকানের শূন্যতা, নিজের ভেতরের কূলহীনতা একাকার করে কাঁদে। টেবিলে মাথা ঠোঁকে। কয়েকটা ড্রামের তলানীতে এখনো কিছু তেল অবশিষ্ট আছে। নাবলুর ভাইয়ের ইচ্ছে হয় দোকানে ও নিজের দেহে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সেদিন সন্ধ্যার সময় কেমন যেন নাবলুর ভাইয়ের শরীরটা খারাপ করতে থাকে। কী এক আশঙ্কায় ভেতরটা দুমড়েমুচড়ে ওঠে। কিন্তু না, ফলাফল কোনো অশুভ হয় না। রাত দশটার সময় কাপড়ে মুখ ঢেকে নিয়াজ মোর্শেদ আসে। সাথে আসে ছোটভাই নাবলু। দু’ভাই চোখের জলে গলাগলি করে কাঁদে। নিয়াজ মোর্শেদ দু’জনকে থামতে বলে, শুনেন, বিপদে আমি ফালাইছি, আবার বিপদ থাইকা উদ্ধারও করছি আমি। আমারে এতটা খারাপ মানুষ ভাইবেন না।
অন্ধকারে পথ চলতে চলতে নিয়াজ মোর্শেদ একপলক থামে। ভাবে, গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার আগে একটা কিছু করে গেলে ভালো হয় না? আবার তো সে গ্রামেই ফিরে আসবে। সুতরাং কোনো একটা ঝামেলা বাঁধিয়ে গেলে মন্দ হয় না। সে সাপের মতো হিসহিস করতে করতে অন্ধকার রাস্তায় এগোয়। মাঠ পেরিয়ে বাজারের কাছাকাছি এসে কয়েক মিনিট অবলোকন করে। না, বাজারের কেউ আর জেগে নেই। প্রহরীটাও নিশ্চয়ই রাত তিনটার সময় শীতে মরতে, মশার খাবার হতে বাজারে থাকবে না। সেও নিশ্চয়ই বাড়িতে গিয়ে বৌয়ের ওমে সুখ-ঘুম দিচ্ছে। নিয়াজ মোর্শেদ কাশি দেয়। কোনো প্রত্যুত্তর আসে না। আবার সে গলা খাঁকাড়ি দেয়। না, কেউ জেগে নেই। সে চুপিচুপি গিয়ে নাবলুর ভাইয়ের দোকানের তালা ভাঙে। সন্তর্পণে ড্রাম কাত করে তেল ছড়ায় মেঝে ও বেড়ায়। তারপর খস করে দেশলাই কাঠি জ্বেলে ছুড়ে ফেলে।
নাবলুর ভাইয়ের দোকানের সামনের সারি, ও একই ভিটের একই রুখের দোকানগুলো কামার দোকান। আবার তার পেছনের বিপরীত দিকের রুখ করা দোকানগুলো কাপড়ের। সেখানে আক্কাস ও আলমাস মিয়ার দোকানও আছে। জায়গা-জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকলেও বাজারের দোকানদারিতে তারা প্রতিবেশী। তবে প্রতিবেশী হলেও একজন কিন্তু আরেকজনের চাক্ষুষ চোখের বিষ। তবু ব্যবসা করতে হয়। আলমাস মিয়ার দোকানটা পুরোনো; আক্কাস দিয়েছে নতুন দোকান, এই তিন-চার বছর হবে। তবে জমে উঠেছে আক্কাস মিয়ার দোকান। পুঁজিও বিনিয়োগ করেছে প্রচুর। ফলে মাঝেমধ্যে বেচা-বিক্রির ভিড় পড়ে গেলে আক্কাস মিয়া দোকানেই থেকে যায়।
ঘটনার দিনও আক্কাস মিয়া দোকানেই ছিল। সকালে তার দগ্ধ ছাই হয়ে যাওয়া লাশটি শনাক্ত করে লোকজন। পুলিশ আসে। আসে চেয়ারম্যানও। আপন ভাতিজার মৃত্যুতে সে ভেঙে ভেঙে কেঁদে ওঠে। আলমাস মিয়াও বিষণ্ন মুখে একপাশে দাঁড়িয়ে আছে। তার দোকানও পুড়েছে। চেয়ারম্যান ভাবে, আলমাস মিয়াই কি এই কাম করলো মামলাত হাইরা? না, তা হতে পারে না। মাঠের মাঝখানে বাহাত্তর শতক জমির দাম আর কত? এর অন্তত তিনগুণ পুঁজি আলমাস মিয়ার দোকানেও তো ছিল। তবে কি ভাতিজাকে পুড়িয়ে মারার জন্যই এই আত্মক্ষতিটা মেনে নিয়েছে আলমাস? না, তা হতে পারে না। নানা দোলনায় দোল খেতে থাকে চেয়ারম্যানের বিক্ষিপ্ত ভাবনা।
এমন সময় পুলিশ কর্মকর্তা এসে জানায়, তারা আগুনের সূত্রপাতটা খুঁজে পেয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মূলত নাবলুর বড় ভাইয়ের দোকান থেকে। তেলের দোকান। হ্যাঁ। চেয়ারম্যানের এককথায় বিশ্বাস হয়। বিশ্বাস হওয়ার কারণ আছে। নাবলুর ভাই তার দোকানের পুঁজি হারিয়ে দেউলিয়া। সে হয়তো মনের দুঃখে এমনটা করতে পারে। আবার ভিড়ের মধ্যে নাবলুকেও দেখতে পায় চেয়ারম্যান সাব। এই ব্যাটা আবার ছুটলো ক্যামনে? তখন তার সন্দেহটা বদ্ধমূলে পরিণত হয়। হ্যাঁ, এই দুই ভাই বজ্জাতই করেছে কাজটা। পরিকল্পিত অগ্নিসংযোগের দায়ে নাবলু ও তার ভাইকে আবারও পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।
এসইউ/জিকেএস