হ-য-ব-র-ল
লিটন মাহমুদ
ভোরের খবর জানান দিতে গ্রামবাংলার খোয়ারঘরে
সবার আগে ডেকে ওঠে কুককুরুকু বাগ হাকিয়ে।
কিচিরমিচির কলতানে উড়ছে কারা আকাশ পানে?
মিষ্টি হেসে কোন সে মামা জেগে ওঠে পূর্ব আকাশে?
ভরদুপুরে গাছের ফাঁকে ব্যাকুল করা সুর ছড়িয়ে
বাউল মনে গান তুলেছে কুহুকুহু ডাক।।
রঙিন ফুলের মধু খেতে রং-বেরঙের ডানা মেলে
পাকা ধানের শীষের ওপর শালিক পাখির ঝাঁক।
হুক্কাহুয়া সুর ধ্বনিতে পাড়ায় পাড়ায় সন্ধ্যা নামে
পণ্ডিতমশাই পাঠশালাতে বাল্যশিক্ষা দিচ্ছে কারে?
হুতুমপ্যাঁচা আড়াল থেকে কাকতাড়ুয়ার ছবি আঁকে
আঁধার রাতে ডালে ঝুলে কারা যেন মেলা করে।।
ময়না টিয়ার বিয়ে হবে পেখম মেলে কেকা নাচে
আনন্দে তাই দিশেহারা বাকবাকুম হাকছে কারা?
মস্ত দেহে সানাই বাজায় শুঁড় উঁচিয়ে দলে দলে
ঢাকি সাজে লম্বা লেজে ঢোলক বাজায় কে?
বরযাত্রীর সঙ্গী হতে নাওয়া-খাওয়া ভুলে গিয়ে
মাছরাঙাটা সেজেগুজে মগডালেতে বসে আছে
পুকুর জলে টেংরা পুঁটি করছে কত ছোটাছুটি
বোয়াল মাছের দাড়ি পরে রুই-কাতলা খেলা করে।।
শিং বাকিয়ে লম্ফঝম্পে ছুটছে কারা আগে আগে?
তাদের সাথে সমান তালে ডোরাকাটা জামা পরে
বিয়ে বাড়ি যাচ্ছে মামা পাইক-পেয়াদা সঙ্গে নিয়ে
বনের রাজা বেজায় চোটে নিমন্ত্রণে গেছে বলে!
মিঠাই-মণ্ডা উদর পুরে সবার আগে খেতে হবে
মৌমাছিদের পেছন ফেলে পিঁপড়েরা সব সদল বলে
বাজ পড়ে যায় সবার মাথায় গো-মহিষে যুদ্ধ বেঁধে!
মিঠাই-মণ্ডা কোথায় পাবে, যুদ্ধ যদি নাহি থামে?
কবি: সাংবাদিক।
এসইউ/এমকেএইচ