একুশে ফেব্রুয়ারিতে ইকরিমিকরির আয়োজন
শিশুতোষ প্রকাশনী ইকরিমিকরি কেবল একটি প্রকাশনা নয়, এক কথায় বললে এটি ‘শিশুদের এক স্বপ্নরাজ্য’। বই প্রকাশের মধ্য দিয়ে শুরু হলেও ২০১৯ সাল থেকে মাসিক পত্রিকাও বের করছে ইকরিমিকরি।
এবার শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে পূর্বাচলে জয় বাংলা চত্ত্বরে ইকরিমিকরি নির্মাণ করছে একটি শহীদ মিনার। একুশের প্রথম প্রহরে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এটি খুলে দেয়া হবে।
এমএস সিটে তৈরি এই শহীদ মিনার উচ্চতায় ৩১ ফুট ও প্রশস্তে ২১ ফুট। ইকরিমিকরি মনে করে, প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত প্রিয় বর্ণমালাকে অনেক আদর-যত্নে লালন করা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অন্যতম উপায়।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইকরিমিকরি এসব তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইকরিমিকরি চায়- শিশুরা মাতৃভাষাকে আরও ভালো করে জানুক। হৃদয়ে ধারণ করুক। শিশুদের জন্যই এমন আয়োজন।
২১ ফেব্রুয়ারিতে ইকরিমিকরির কর্মসূচি
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইকরিমিকরির কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- শিশু ও বড়দের অংশগ্রহণে রাস্তাজুড়ে বর্ণ আলপনা। দিবসের শুরুতে শহীদ মিনার উদ্বোধন করবেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক। এরপর শুরু হবে বর্ণছবি প্রদর্শনী।
ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিকসহ ৫০ বরেণ্য ও তরুণ শিল্পীর আঁকা ৫০টি বর্ণছবি প্রদর্শনীতে স্থান পাবে। জয়বাংলা চত্ত্বরে এর উন্মুক্ত প্রদর্শনী হবে। বর্ণছবির আরও প্রদর্শনী হবে জাদুঘর অথবা শিল্পকলা একাডেমির গ্যালারিতে।
সারাদিন বর্ণছবি আঁকবে তরুণ ও শিশু শিল্পীরা। বর্ণকে ত্রিমাত্রিকভাবে উপস্থাপন করা হবে।
এছাড়াও রয়েছে বর্ণমালায় হাতেখড়ি, ইকরিমিকরি বইটঙ উদ্বোধন (ভ্রাম্যমান বই প্রদর্শন, বইপড়া ও বই বিক্রির গাড়ি) ও শিশুদের জন্য বর্ণমালার খেলা, বর্ণমালা চেনা, বর্ণফুল আঁকা ইত্যাদি।
এএএইচ/এএসএম