রাশেদুল হাসানের তিনটি কবিতা
জোছনার সাথে সঙ্গম
বিষাদের বিছানায়
সঙ্গম করি জোছনার সাথে
বুদ হই, পার হই মাটির জলধি।
নুনতে মাঠে মুখ ঘষি
অতিক্রম করি পর্বতশৃঙ্গ।
শূন্যতাকে ফাঁসিতে ঝুলাই জোছনার মঞ্চে
জুনিদের এজলাসে;
নির্বাসনে পাঠাই বিষণ্নতাকে
হতাশার পাঠ চুকিয়ে
মত্ত হই শাস্ত্র পাঠে।
সঙ্গম করি জোছনার সাথে
বিষাদের বিছানায়।
****
বিদায়
শীতের কম্বলের মত অপরিহার্য
হয়তো এমনটাই ভেবেছিলাম
তোমাকে;
হৃদয়াবদ্ধ করার চেষ্টাও তো আর
কম করলাম না।
অথচ, গ্রীষ্মের কাঁথার মতো দূরেই
রাখলে।
শীতের মিষ্টি রোদ সেজে
রোদ্দুরে কেন খেলা করতে চাইলে
জীবন নিয়ে!
ঘাতিনী তোমাকে বিদায়
সালামান্তরে।
****
শীত বাড়ছে
শীত বাড়ছে, হুতাশনের শিখা বাড়ছে
মনের হুতাশন;
মনানলের নির্গত লাভায় পুড়ছে শরীর
লোমকূপ থেকে লোমকূপ।
সর্বস্ব বিলুপ্ত রমনীর অনলে
পুড়ছে সম্পদ, ইজ্জত;
শীত বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অনল
মনের অনল।
শীত বাড়ছে বাড়ছে হুতাবুক
গ্রাফের মতো;
নিঃস্ব বৃদ্ধা কাঁপছে ঠকঠক করে
আমিও কাঁপছি বৃদ্ধার মতো
মনের অনলে।
এসইউ/এমকেএইচ