রজনী জান্নাতুল ফেরদৌসের দুটি কবিতা
ভালোবাসার তৃপ্তি নেই
ভালোবাসি বললেই ভালোবাসা হয় না
ভালোবাসার মানুষের মনের গভীরেও বুঝতে, জানতে হয়।
ভালোবাসার মানুষের ভালো-মন্দ, সুখ-অসুখও বুঝতে হয়
সম্মান, শ্রদ্ধার সাথে সাথে পাগলামিটাকে ভালোবাসতে হয়।
তুমি কী করলে? কেন করলে? এই যে এতো অভিযোগ তোমার জন্য আমার...
কই ছেড়ে তো যাইনি এখনো।
এতো অভিমান নিয়েও, চোখের জল মুছেও
তোমার হাসিমুখের জন্যই ব্যস্ত হয়ে পড়ি
কারণ ভালোবাসায় তৃপ্তি বলে কিছু নেই।
ভালোবাসলে কখনো তৃপ্ত হওয়া যায় না।
তাই তো বারবার দূরে সরেও আবার ফিরে আসি
তোমায় আরেকটু ভালোবাসবো বলে।
কোন এক সাঁঝের বাতির মতো হয়তো জ্বলতে জ্বলতে নিভে যাবো,
তুমি তখন বুঝবে শেষ বিকেলের নরম আলোটুকু
কতটা ভালোবেসে অন্ধকারকে সরিয়ে রাখে।
বুঝবে তখন সব আলোই চোখে সহ্য হয় না
সব ভালোবাসার মানুষ তৃপ্ত হয় না।
মন থেকে ভালোবাসলে তুমিও বুঝবে
ভালোবাসায় তৃপ্তি বলে কিছু নেই।
****
স্বপ্নীল প্রেম
কোনো এক সকালে আগে ঘুমটা ভাঙবে আমার
আমি আলতো করে চুলগুলো সরিয়ে
কপোলে ভালোবাসা এঁকে দিয়ে
বলবো, ভালোবাসি কেন এতো?
ঘুমের ঘোরে জাপটে ধরে বলবে
আমার পাশে থেকো।
নির্লজ্জ চোখে ভালোবাসার তৃপ্তি খুঁজবো
হারিয়ে যাবো সুখময় সাগরে।
আমার ভেজা চুল তোমার বড্ড পছন্দ
সেই ভেজা চুল নিয়ে, চোখে কাজল পরে
কপালে টিপ আর কাঁচের চুড়িতে
অপেক্ষায় থাকবো তোমার।
খুব ইচ্ছে হয়, তোমাকে নিয়ে সাগর দেখি
তোমার বুকে মাথা রেখে আজীবন কাটিয়ে দেই।
তোমাকে জড়িয়ে ধরি, লেপটে থাকি তোমার ভেতর।
কোনো এক দুপুরে, কড়া রোদে দু’জনে হারিয়ে যাবো না বলা শহরে
সন্ধ্যা নামার আগেই তোমাকে নিয়ে সাগর বা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে
হাত ধরে পুরো পৃথিবী দেখবো
আকাশ লজ্জায় অন্ধকার হয়ে যাবে
আমাদের আদরে, দীর্ঘ চুম্বনে।
কোনো এক রাতে তোমাকে নিয়ে নদী পাড়ি দেবো।
তোমার পাশে থাকাটাই আমার শরীরে শাড়ি জাপটে থাকার মতো।
তোমার হাসিটা আমার সকল সুখের শুরু
তোমার রাগ-অভিমান বিরক্তি সবই চুষে নেবো
এক দীর্ঘ চুম্বনে।
একজীবনে শুধু ভালোবাসবো তোমায়
প্রেম হবে, মনের ছোঁয়াছুঁয়ি হবে
অনুভূতি অনুভব সবই রংধনুর মতো বদলাবে
শুধু কথা দাও, তুমি বদলাবে না
কথা দাও, অন্য জলে ডুব দেবে না।
আমি আরেক জনম অপেক্ষায় থাকবো
কোনো একদিন তুমিই আমার সেই পুরুষ হবে বলে এই,
তোমায় এতো ভালোবাসি কেন?
এসইউ/জিকেএস