ভালো কিছু লিখতে চাই : নাহিদা নাহিদ
নাহিদা নাহিদ এ সময়ের তরুণদের মধ্যে প্রতিশ্রুতিশীল কথাশিল্পী। তিনি ১৯৮৩ সালে চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বর্তমানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন।
এ পর্যন্ত তার ‘অলকার ফুল’, ‘যুথচারী আঁধারের গল্প’ ও ‘পুরুষ পাঠ’ নামে তিনটি বই প্রকাশ হয়েছে। ২০১৮ সালে ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার’ লাভ করেন। সম্প্রতি পেয়েছেন ‘এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার’।
তার পুরস্কারপ্রাপ্তি ও লেখালেখির ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছেন জাগো নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাংবাদিক ও কথাশিল্পী সালাহ উদ্দিন মাহমুদ—
লেখালেখির শুরুর গল্পটি শুনতে চাই—
নাহিদা নাহিদ: শুরুর কোনো গল্প নেই। লিখবো এটা মনে হতো এবং একসময় লিখতে শুরুও করে দিলাম। ভোরের কাগজ দিয়ে শুরু।
সম্প্রতি ‘হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার’ পেলেন, পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি জানতে চাই—
নাহিদা নাহিদ: যেকোনো প্রাপ্তিই আনন্দের। সেক্ষেত্রে নিজ সৃজনকর্মের স্বীকৃতি পেলে কার না ভালো লাগে, আমারও লাগছে।
পুরস্কার নিয়ে অনেক রকম কথা শোনা যায়, এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?
নাহিদা নাহিদ: শুধু পুরস্কার কেন? সবকিছু নিয়েই তো কথা বলা এবং কথা প্রচার হওয়া একটা স্বাভাবিক ট্রেন্ড। পুরস্কার কি তার ব্যতিক্রম কিছু? লেখালেখির পথে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, পুরস্কার-তিরস্কার, নেপথ্য-প্রকাশ্য এসব বিষয়-আশয় নিয়ে সারাক্ষণ ভাবলে তো চলবে না। পথ তুমি কার? পথিকের। তো, যা কিছু ঘটুক; জীবনে ভালো আর মন্দ, সবকিছুই সত্যের মত মেনে নিতে হবে সহজে।
আগামী বইমেলায় আপনার নতুন কী বই পাচ্ছি?
নাহিদা নাহিদ: কোনো বই-ই না। আপাতত নিজের অ্যাকাডেমিক কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চাই।
ছোটবেলায় কী হতে চেয়েছিলেন?
নাহিদা নাহিদ: কিছুই হতে চাইনি। এখনো চাই না। জীবন যেদিকে টেনে নিয়ে যাবে; সেদিকেই যাব।
লেখালেখি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
নাহিদা নাহিদ: ভালো কিছু লিখতে চাই—এটাই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
এসইউ/এমকেএইচ