মেহেদী হাসান রনির দুটি কবিতা
শূন্যতার শোকসভা
হয়তো একদিন থাকবো না আমরা
থাকবে না আমাদের অস্তিত্ব,
আপাদমস্তক খুঁজে বেড়ালেও
পাবে না কো পৃথিবী বিস্তৃত।
হয়তো বা থাকবে কোথাও ধু-ধু মরুভূমি,
কোথাও বা শীতল জলাভূমি,
তা নিয়েই ফিরতে হবে ঘরে সন্ধ্যাগোধূলি।
আচ্ছা, প্রকৃতি কি থাকবে সেদিন?
না-কি হবে সমাহিত?
যদি বা না-ই থাকলো লোকারিত,
কীভাবে টিকবে তার অস্তিত্ব।
ভেবে দেখো একবার হয়ে যাবে রক্ত শীতল,
কী হবে এ সৌন্দর্যের, যা ছিল এতটাই কোমল।
চলার পথে পালাক্রমে যদি কেউ বা যায় থেকে,
কী হবে তার?
ভাবলেই হয়ে যায় শূন্য অন্তঃসার।
তাকিয়ে দেখি চারিদিক লোকে লোকারণ্য
করছে কতশত সভা,
তাহলে হবে কি সেদিন শূন্যতার শোকসভা!
****
অসুস্থ পৃথিবী
চারিদিকে শুনি শুধু চিৎকার, আর্তনাদ, আহাজারি,
কোথাও পড়ে আছে নিথর দেহ কোথাও বা লাশের সারি।
কতদিন দেখি না চারিদিক কোলাহলে মুখরিত,
ওহ! কীভাবে দেখবো?
সবাই তো অদৃশ্য ভয়ে শিহরিত।
শুনেছি, এসেছে না-কি কী সব শব্দ
লকডাউন, আইসোলেশন আর দূরত্ব,
তাই শুনে মানব জাতি আজ নিস্তব্ধ।
এবেলা, ওবেলা তিন বেলা করে
শুনছি, দেখছি, জানছি পৃথিবীর খবর,
দেশে দেশে না-কি খোড়া হচ্ছে একের পর এক গণকবর।
ছিল আমাদের বড়ই বড়াই হা-হা,
হঠাৎই হয়ে গেলাম ধরাশায়ী।
অদৃশ্য এক ভয়ে আজ করছি সবাই ছোটাছুটি,
কোথায় সেই অস্ত্র-শস্ত্র যা নিয়ে করেছিলাম লোটালুটি।
হয়তো অপরাধ হয়েছিল আমাদের খুব বেশি,
তাই তো প্রতিশোধ নিয়ে প্রকৃতি আজ মহাখুশি।
কোথাও শুনেছি আশায় বাঁচে নিরাশা
তাই তো দিনশেষে আমরাও করি সুস্থ পৃথিবীর প্রত্যাশা।
এসইউ/এমকেএইচ