ভিডিও EN
  1. Home/
  2. সাহিত্য

ফজলুল আলমের চলে যাওয়া

প্রকাশিত: ০৬:৪২ এএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৬

বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক ও সংস্কৃতি তাত্ত্বিক ড. ফজলুল আলম আর নেই। গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।  মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।

ড. ফজলুল আলম ১৯৪১ সালে বগুড়ার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ও চ্যানেল আই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগরের ছোট চাচা। সুদীর্ঘ ২৫ বছর তিনি ইংল্যান্ডে বসবাস করেন। ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরিয়ান পদে যোগ দেন। সেখানে তিনি লাইব্রেরি অটোমেশান প্রজেক্ট চালু করেন ও ইউএনডিপি’র অনুদানের প্রস্তাবিত সব শর্ত সফলভাবে, সময়মতো কার্যকর করেন। প্রথম কয়েক বছর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কলাম লিখলেও ২০০২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর পেয়ে সৃজনশীল ও মননশীল সাহিত্যে মনোনিবেশ করেন।

২০০৪ সালে প্রকাশিত উপন্যাস, ‘ক্রান্তিকালে প্রতারক’, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ডিগ্রি কোর্সে মনোনীত হয়। ইংল্যান্ডে তার দুটি গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। সেখানে থাকাকালে তিনি নিজ খরচে লাইব্রেরিয়ানশিপে চার্টার্ড, এথনিক রিলেশন্সে মাস্টার্স ও কালচারাল স্টাডিজে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৭ সালে সংস্কৃতির সত্য-মিথ্যা প্রকাশ করে তিনি নিজেকে একজন সংস্কৃতি অধ্যয়ন বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত সংস্কৃতি সমগ্র সুধী মহলে বহুল সমাদৃত। তিনি সম্পূর্ণ নতুন বিষয় সংস্কৃতিতত্ত্ব বিরোধিতার ওপরও লিখেছেন। তার পাঁচটি ছোটগল্প, নাটক ও টেলিফিল্ম হিসেবে টেলিভিশনে প্রদর্শিত হয়েছে।

তিনি স্যাটেলাইট চ্যানেলে সর্বপ্রথম বিষয়ভিত্তিক টক শো ‘কড়া আলাপ’র পরিকল্পক ও উপস্থাপক। তিনি সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার (২০০৮) ও বাংলা একাডেমি পরিচালিত সা’দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার (২০১৪) লাভ করেন।

ফজলুল আলমের প্রথম জানাজা চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, চ্যানেল আই পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, সাবেক সচিব মোফাজ্জল করিমসহ ও গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। আগামী শুক্রবার বাদ আসর তার স্মরণে মিলাদ-মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে চ্যানেল আই মসজিদে।

এইচআর/এবিএস