বিরতি ও চিঠি
বিরতি
কোনো শ্রবণেই দ্রবীভূত হয় না ঘোর। মাতাল হাওয়ার ঘ্রাণের মতো সন্ধ্যায়, দু’একটি সাদা পাখির ওড়াউড়ি থামায় অকস্মাৎ। থামে প্রশ্রয়, থামে ইঙ্গিত। প্রণয়ও থেমে যায় ... কিংবা থামে না হয়তো পথ।
পথই বাঁচায় সব আকুল আক্ষেপ অথবা নীরব প্রস্থান। নিজেকে নিজে ছাপিয়ে যাওয়ার লীলাখেলায় বড় ক্লান্ত লাগে। বলো তো, আবার বেঁচে উঠবে কিনা কথামালা? বলো, তুমি জানো কোথাও জেগে থাকে কেউ ...
ঘুমাও তুমি নিবিড় আলিঙ্গনে কারো। কোথাও বিছানা-বালিশ শূন্য থাকে পড়ে। কোথাও ভর-দুপুরে ছায়ায় মলিন প্রথম দেখা!
চিঠি
তোমার একলা লাগে? অথচ এমন তো ছিল প্রতিজ্ঞা অবিচল কারো, বাঁচাবে তোমায়!
এই এক বাজি হেরে চলে গেছে সন্তর্পণে হেঁটে ...
জানলে না তুমি, জোনাকেরও লাগে ঘোর ঘোর অন্ধকার ... কিশোরের মুখে হাসি ফোটে!
জলেতে খুঁজেছো প্রতিবিম্ব কার, তুমি জানো ...
জানেনি তো সে! ভালোবেসে অথবা একরাশ মোহ বুকে চেপে হারিয়ে গেছে ভোরে।
যদি দেখো বৃষ্টির দেশে কোনো ফুল ভেজে পাতার আড়ালে ...
কিছুটা দীর্ঘশ্বাসে নাম নিও তার।
এইচআর/পিআর