ভিডিও EN
  1. Home/
  2. সাহিত্য

বইমেলা-২০১৫: ব্যস্ত প্রচ্ছদ শিল্পীরা

প্রকাশিত: ০৩:৫২ এএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৫

আর মাত্র ৪ দিন পরেই শুরু হচ্ছে বাঙ্গালির প্রাণের উৎসব অমর একুশে গ্রন্থমেলা। এই মেলাকে ঘিরে অন্য সবার মতই ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রচ্ছদ শিল্পীরা। এবার লেখার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রচ্ছদে কিছুটা পরিবর্তনও আনা হয়েছে বলে জানান শিল্পীরা। বাংলাদেশে দ্রুত অগ্রসর হয়েছে এই শিল্প। তবে মানসম্পন্ন লেখার দিকে নজর দিতে প্রকাশকদের প্রতি পরামর্শ প্রচ্ছদ শিল্পীদের।

লাল, নীল, সবুজ বাহারি রঙে তুলি ভিজিয়ে একটু একটু করে সাদা কাগজের উপর নির্মিত ছবিগুলো যেন জীবনের কথা বলে, প্রেমের কথা বলে প্রকৃতির কথা বলে। শুধু কি তাই, পুরো বইয়ের মর্মার্থ ফুটিয়ে তোলা হয় এই প্রচ্ছদে। আর দৃষ্টিনন্দন এই ছবিগুলো পাঠককে টেনে নিয়ে যায় বইয়ের কাছে।

লেখায় যা আছে তাই নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয় ছবির মধ্যে` এমনটাই জানান প্রচ্ছদ শিল্পী মামুন হোসাইন। তিনি বলেন, অনেকসময় দেখা যায়, স্ক্রিপ্ট কিংবা গল্প ভালো না লাগলেও আঁকতে হয় খুব ভালো করে।`

আর প্রচ্ছদ শিল্পী মাশুক হেলাল বলেন, `৮০ দশকে আমরা দেখেছি আমাদের এখানের লেখকরা কলকাতায় গিয়ে পূর্ণেন্দু পত্রী, সত্যজিৎ রায় এদের কাছ থেকে বইয়ের কাভার করিয়ে আনতেন, কিন্তু এখন বিষয়টি ভিন্ন, কলকাতার লেখকরা আসে আমাদের কাছ থেকে কাভার করিয়ে নিয়ে যায়।`

মনোলোভা প্রচ্ছদের বইটি হাতে নিয়ে তা যেন পাঠকের কাছে বিষাদের কারণ না হয় সেজন্য দরকার মানসম্মত লেখা। এই বিষয়ে কবি ও প্রকাশক সৈকত হাবিব বলেন, `আমাদের দেশের বইয়ের কভার, কাগজ খুবই সুন্দর নিঃসন্দেহে, কিন্তু বইয়ের যে সম্পাদনার মান কিংবা লেখা, এই বিষয়গুলোতে আমাদের আরও শ্রম দিতে হবে।`

বাংলাদেশের প্রচ্ছদ শিল্পের রয়েছে এক দীর্ঘ ইতিহাস। এক সময়ে বইয়ের প্রচ্ছদ তৈরি হতো কাঠের ব্লকে এরপর এলো জিংক, তারপর লাইনের পথ অতিক্রম করে সাম্প্রতিক প্রচ্ছদ নির্মাণে যুক্ত হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি। বর্তমানে এদেশের প্রচ্ছদ শিল্পীরা ভূষিত হচ্ছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মানে।

প্রচ্ছদকে বলা হয় বইয়ের আয়না। এটি একদিকে যেমন বইকে করে তোলে আকর্ষণীয় অপরদিকে এর মধ্য দিয়ে বইয়ের নাম লেখকের নাম প্রভৃতি তথ্য তুলে ধরা পাঠকের চোখে। আর এ অপরিহার্য কাজটি সম্পন্ন করেন প্রচ্ছদ শিল্পীরা।

এআরএস