ভিডিও EN
  1. Home/
  2. সাহিত্য

অন্ধকারের দিকে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা এবং অন্যান্য

আবু আফজাল সালেহ | প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

 

অন্ধকারের দিকে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা

ঘরকে করেছি অন্ধকার
জানালা দিয়ে উঁকি দিলাম
অসংখ্য ছায়া আঁকা
খেজুর কিংবা বাবলা গাছের মতো।
পুড়ে গেছে ঘাস, তবুও কিছুটা সবুজ
জিদের অসুখ পড়েছে ঘাসের উপর
লোভাতুর জিভ মেখেছে স্বাদ।

নতুন হাতে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা
বৃষ্টিতে হবে আমাজন
আগামী বছর।

****

অসুখের প্রেসনোট

দুঃখদেরও সীমা আছে, সীমানা থাকে
একাকিত্ব মানুষকে এলোমেলো করে।

আমার চোখ থেকে মেঘ গলে যাচ্ছে
আমার জিভের মধ্যে গলে যায় সাদা মেঘ
সাদা গোলাপের মতো একই রং
মনে বিচ্ছিরি ছাই প্রায় কালো
কালো রং ঠিক অন্ধকারের মতো একই রং।

ঘাসের পিঠে শুয়ে সময়ের সমান্তরাল খণ্ড
আঙুলের মাধ্যমে স্খলন
আলেয়ার আলোর মতো অধরা
অসংখ্য ঝড় থেকে যাচ্ছে মস্তিষ্কের গহিনে।

****

বিরহ

সোনালি, তোমার কথা ভেবে ব্যথায় হৃদয় ছটফট
ভেতরে ভিসুভিয়াসের লাভা, অনির্বাণ শিখা
দু’দণ্ডের বিরহেও করে তোলে আকুল
প্রতিটি সময়
নিয়তি তবুও দূরে টেনে নিয়ে যায়!

সোনালি, মনে পড়ে সুরমাপাড়ের গল্প
মনে পড়ে নীলাচলের গল্প—
জবা ফুল খোঁপায় মেখে দেওয়ার গল্প
তোমার উষ্ণ স্পর্শ নিয়ে মিথ্যা বলিনি
তোমার প্রতারক আলিঙ্গন নিয়ে সত্য বলিনি।

সোনালি, পূর্বদিকে নীল পাহাড় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে
মেঘদল খেলছে শরীরজুড়ে
আরও পূর্বে সূর্যোদয়, পাহাড়ের ঢেউ, নীল প্রসারিত
সীমাহীন নীল, দ্যুতিময়
উপত্যকায় জীবন-সংগ্রাম
নীল জরি স্বপ্নের মতো জেগে ওঠে।

সোনালি, তবুও তুমি অন্তহীন আবেদন
তোমার নিরবধি মুখ তো কুতুবদিয়ার বাতিঘর
অন্ধকারকে তাড়া করে সব সময়।

এসইউ/জেআইএম

আরও পড়ুন