ভিডিও EN
  1. Home/
  2. সাহিত্য

অন্ধকার ও এক কবির গল্প

সাহিত্য ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:৪৫ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০২৪

তন্ময় মণ্ডল

‘স্বপ্ন আসে দিনের বেলা
স্বপ্ন আসে রাতে,
আগুন সারা দেশটাজুড়ে
মশাল সবার হাতে।’
এই চার লাইন লিখে ফেলার পর বিমল বসু বেশ খানিকক্ষণ চুপ মেরে আছেন। মনে মনে ভাবছেন, না লেখাটা একটু রাজনীতি ঘেঁষা হচ্ছে হোক তবে বড্ড গতানুগতিক। অন্ত্যমিলটা নিয়েও একটু ভাবতে হবে। অবশ্য ‘মশাল সবার হাতে’ ব্যাপারটা কিন্তু বেশ প্রতিবাদী পরিবেশ তৈরি করছে।

হঠাৎ দরজায় টোকা। তিনি জানেন এই অসময়ে রমেন ছাড়া কেউ আসবে না। ছেলেটির বাবা এ পাড়ায় নতুন বাড়ি করেছে। অবশ্য তার আগে থেকেই তিনি রমেনকে চেনেন। পড়শি এই বছর বাইশের ছেলেটির লেখালিখির প্রতি আগ্রহ আছে। কবিতা লিখছে বছর তিনেক। তবে বিমলবাবুর অনুপ্রেরণায় ছড়ার ময়দানেও হাঁটাচলা করছে ইদানিং। সময়ে-অসময়ে একটা ছড়া বা কবিতা লেখা হলেই হানা দেয় বিমলবাবুর বাড়ি।

একরাশ বিরক্তি মুখে দরজা খুললেন বিমলবাবু। হ্যাঁ, হাতে সাদা কাগজের কয়েকটা টুকরো নিয়ে একপাটি ছোপ পরা দাঁত বের করে হাজির রমেন।
‘তা বলো রমেন, আজ কী লিখে এনেছো?’ বলতে বলতে ঠোঁটের কোণে একটু স্মিত হাসি দেখা দেয় বিমলবাবুর। রমেন দুটি টুকরো পদ্য শুনিয়ে এবার গলাটা একটু খাকরে নিয়ে শুরু করলো তিন নাম্বার লেখা,
‘শিয়রে দাঁড়িয়ে যম
হাতে টাকা-কড়ি কম,
প্রাণ মোর যায় যায়
বিমলদা যদি বাঁচায়।’
লেখাটা পড়ার পর মুখে একটা কাচুমাচু হাসি এনে বলল, ‘পদকর্তারা নিজের নাম পদে রাখতেন। আমি আমার ছড়ায় আপনার নাম রেখেছি। ব্যাপারটা খাসা হলো কি না বলেন দাদা?’
বিমলবাবু বয়সে তার বাবার চেয়েও অন্তত বিশ বছরের বড়। কিন্তু এই লেখালিখির লাইনে নাকি যতই বয়সে বড় হোক, দাদা সম্বোধন করার রীতি।
বিমলবাবু লেখাগুলো শোনার পর বেশ কড়া কিছুই বলবেন ভাবছিলেন। এতদিন এতকিছু বোঝাবার পরও না বুঝেছে দল না পর্ব! ছন্দের মা-বাপ-গুষ্টির একেবারে ষষ্ঠিপুজো করে ছেড়েছে। তবে শেষ সংযোজনে খানিকটা দমিয়ে নিলেন নিজেকে। আর তাছাড়া আজকাল সঠিক সমালোচনা করলে লোকে হজম করতে পারে না। শত্রু হয়ে যায় নিমেশে। এই রমেনের মতো ক’জন অন্তত তাঁকে একটু-আধটু গুরুত্ব দেয়। তেমন কেউ তো আজকাল একটা ফোন করেও খবর নেয় না। ডানহাতের তালুটা একটু মুখের ওপর কপাল থেকে দাড়ি অবধি বুলিয়ে বললেন, ‘দেখো রমেন, ছড়া যদি লিখতে হয় ছন্দ ভালো করে বুঝতে হবে। কানকে তৈরি করতে হবে। লেখাগুলো ঠিক আছে। তবে আমার সাজেশন তুমি আগে প্রচুর ছড়া পড়ে ছন্দটা অনুভব করো। দেখবে ধারালো সব ছড়া বেরোবে তোমার কলম দিয়েই। যেসব কবিতা লিখছো, সেগুলো আরও মজবুত হবে। এখন এসো। আমার একটা লেখা অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে আছে। শেষ করি।’
বিমল বসু বারবার রমেনকে বলেন, নিজেকে তৈরি করো রমেন। এত অনুষ্ঠান, এত লাফালাফির মধ্যে কিচ্ছু রাখা নেই। সাহিত্য নিমগ্নতা চায়, সাধনা চায়।
রমেন মনে মনে ভাবে বিমলদার বয়স হয়েছে, তাই হয়তো মতে মেলে না। ফেসবুকে একটা অ্যাকাউন্ট অবধি নেই ভদ্রলোকের। কতদিন ফেসবুকের কথা বলেছে, এত এত লাইক কমেন্ট দেখিয়েছে সে। বিমলবাবুর তেমন একটা আকর্ষণ চোখে পড়েনি। শুধু বারবার রমেনকে একটাই কথা বলেছেন, ‘রমেন আগে একটা চাকরি-বাকরি ভালো জোগাড় করো। আর পড় পড়। এত ছোটাছুটি করে কিছু হবে না যদি লেখাটাই না শেখো।’
রমেন যে বিমলবাবুকে অশ্রদ্ধা করে, তা নয়। তবে তার মনে হয় বয়স্ক লোকের সব কথা শুনতে নেই।

চারিদিকে বাগান ঘেরা অন্ধকার মতো বাড়িটাতেই বিমল বসুর তিন পুরুষের বাস। স্ত্রী যখন বেঁচে ছিলেন; তখন বিমলবাবুর জীবন একরকম ছিল, এখন অগোছালো অখণ্ড অবসর। বাড়ির আশাপাশের আগাছাও পরিষ্কার হয়নি অনেক বছর। হঠাৎ করে দূর থেকে দেখলে বাড়িটাতে মানুষ থাকতে পারে এ ধারণা চট করে আসবে না। বিমল বসুর সারাটা জীবন কেটেছে ছড়া আর কবিতার স্রোতে হামাগুড়ি দিয়ে। আগে কলকাতায় বিভিন্ন পত্রিকার দপ্তরে যেতেন, অনুষ্ঠানে যেতেন। এখন যাওয়া হয় না বললেই চলে। আগে ডাকে লেখা পাঠাতেন বিভিন্ন কাগজে। এখন সে সুযোগ প্রায় নেই। অধিকাংশ জায়গাতেই টাইপ করিয়ে লেখা ই-মেইল করতে হয়। ফলত লেখা পাঠানোর ইচ্ছে অনেক সময় মাঝপথে মারা পড়ে। তার ওপর আবার তিনি মূলত লেখেন ছোটদের জন্য। ছড়া আর কিশোর গল্প। সেসব লেখা ছাপানোর কাগজও তো কমে আসছে। বড়দের জন্য কবিতাও লিখেছেন, গল্পও আছে কিছু। তবে ছোটদের লেখাতেই তাঁর তৃপ্তি।

একা মানুষ বিমলবাবু দক্ষিণের জানালা দিয়ে দুপুরবেলা পুকুরের জলের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। ভাবেন কীভাবে কাটিয়ে দিলেন এতগুলো বছর। এই লেখালিখির পাগলামোতে কখনো সেভাবে ভালো চাকরি-বাকরি, টাকা-কড়ির মুখ দেখাও হলো না। সাবিত্রী অবশ্য সারাজীবন তা নিয়ে তেমন অভিযোগ করেনি। আর সাবিত্রী ছিল বলেই না তিনি যেটুকু যা লিখেছেন সেটুকু সম্ভব হয়েছে। সংসারের দিকেও তো কখনো তাকানোর সময় পাননি সেভাবে। বিয়ের পর থেকেই বউটি সমস্ত দায়িত্ব সামলেছে। শুধু বলেছে সিগারেটটা কম খাও। এখনো অনেক লেখা লিখতে হবে তো। বিমলবাবু অবশ্য চেষ্টা করেছেন লেখার। লিখেছেনও। কিন্তু সাবিত্রীর নিয়তিতে যে এত দ্রুত চলে যাওয়া লিখে রেখেছেন বিধাতা তা তো তিনি জানতেন না। আজ বড় আক্ষেপ হয়। কখনো জানতে চাননি বউটা কি ভালোবাসে। কোথায় তার আনন্দ। অবশ্য সংসার-সন্তান সর্বস্ব মা হয়েই বোধ হয় সাবিত্রী সবটুকু খুশি খুঁজে নিয়েছিল। নামসইটুকুই তার পড়ালেখা। তবু যে কোনো ছড়া লিখেই প্রথমে বিমলবাবু নিজের স্ত্রীকে শোনাতেন। সেবার প্রচণ্ড বর্ষা। পাড়ার মোড়ে প্রায় হাঁটুজল। প্যান্ট গুটিয়ে আকাশবাণীর অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফিরে দেখেন মেয়েটার ধুম জ্বর। দু-বছরের মেয়ের মাথায় জলপটি দিতে দিতে সাবিত্রী জানতে চাইল, ‘সব ছড়া ঠিকঠাক পড়েছিলে তো? তোমার আবার বড় তাড়াহুড়ো থাকে।’ মা এবং স্ত্রীর ভূমিকায় সাবিত্রী একশতে একশ। কিন্তু বিমলবাবু?

ফোন বাজছে। বিমলবাবু তড়িঘড়ি করে বারান্দায় এলেন। কথা হলো। নিউ ব্যারাকপুরের একটি পত্রিকার শারদীয়া সংখ্যার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথি হওয়ার আমন্ত্রণ এসেছে। আজ আটষট্টি বছর তিন মাস বয়সে দাঁড়িয়ে লোকাল ট্রেনে চেপে অতদূর গিয়ে ঘেমে-নেয়ে একটা মিষ্টির প্যাকেট আর ফুলের তোড়া বুকে জড়িয়ে ফিরে আসতে ভালো লাগে না বিমলবাবুর। তার ওপর শিশুসাহিত্যিক লেখা থাকবে নামের আগে। কোথাও যেন বি-গ্রেড হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে ও ব্যানারে অতিথিদের তালিকায় শেষদিকে তাঁর নাম থাকবে। এসব দেখতে দেখতে চোখ পচে গেছে। মাঝে মাঝে খুব অভিমান হয়। বিশিষ্ট কবিটিকে বা সাহিত্যিককে গাড়ি করে আনা ও দিয়ে আসা হবে। সঞ্চালক যখন অনুষ্ঠানে সেই ব্যক্তির নাম ঘোষণা করবেন, সে কী উদ্দীপনা। অথচ শিশুসাহিত্যিক বলে এতটাই একপেশেভাবে দেখা! মেনে নিতে পারেন না বিমলবাবু। এ তো শুধু তার সঙ্গেই নয়। আরও যারা ছোটদের জন্য লেখেন এই সাহিত্যমহলের তাঁরা যেন ‘শুদ্র’। তিনি মনে মনে ভাবেন, আমাদের লেখা পড়ে ছেলেমেয়ে বড় হয় বলেই না তোমরা পাঠক পাও!
বিমলবাবু বারান্দায় রাখা জলের বোতল থেকে ঢকঢক করে খানিকটা জল গলায় ঢেলে সোজা গিয়ে বিছানায় উঠলেন। শরীরটা জুতের লাগছে না। একটু ঘুমানো দরকার।

****

মালবিকা সেন চল্লিশ মিনিট ধরে আয়নার সামনে বসে আছেন। খোপাটা ঠিকঠাক হলো এতক্ষণে। একটা বেল বা জুঁই ফুল দিলেই একদম পারফেক্ট। মেকআপ শেষ। এবার রওনা দেওয়ার পালা। গাড়িতে উঠে ড্রাইভারকে বললেন, ‘বাইপাসে একটা ভালো চায়ের দোকান দেখে দাঁড়াস। ওখানে গিয়ে সরাসরি স্টেজে উঠতে হবে। রাত আটটায় আবার নৈহাটির প্রোগামটা।’
গাড়ির মধ্যে হালকা আওয়াজে বেজে যাচ্ছে রবীন্দ্রসংগীত। মালবিকা সেন হঠাৎ সঙ্গের মহিলাটিকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হ্যাঁ রে সোমা, লাস্ট যে ভিডিওটা ইউটিউবে দেওয়া হয়েছিল রেসপন্স কেমন?’ সোমা নামের সহযোগী জানায়, দুলাখ ছাড়িয়ে গেছে ভিউ। বিমল বসুর লেখা কবিতা ‘লক্ষ্মীটি’।

স্বনামধন্য বাচিকশিল্পী মালবিকা সেনের গাড়ি এখন দ্রুতগতিতে ছুটছে বাইপাস ধরে। বাইপাস পেরিয়ে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে সোজা দক্ষিণেশ্বর। সবুজ সংঘের আজ পঁচিশ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। দুপুরে ক্লাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছে সোমার। সে স্পষ্ট জানিয়েছে, দিদি এক ঘণ্টাই স্টেজে থাকবেন। বিশ হাজারের কমে হবে না। তাতে একটু উষ্মা তৈরি হলেও উদ্যোক্তারা রাজি। বিমল বসুর সঙ্গে মালবিকা সেনের কখনো আলাপ হয়নি। অথচ বিমল বসুর কত না কবিতা তিনি কণ্ঠে ধারণ করেছেন। অবশ্য এখন মালবিকা সেন অধিকাংশ জায়গাতেই কোলাজ উপস্থাপন করেন। অর্থাৎ বিভিন্ন কবির কবিতা জুড়ে জুড়ে মিউজিক সহযোগে একটা ধারাভাষ্য। সেখানে কবিদের নামের উল্লেখ থাকে না। তার সুমধুর কণ্ঠ আর সুললিত বাচনশৈলীতে ইউটিউবের দর্শকও ইদানিং মোহিত। সেখান থেকেও মা লক্ষ্মী ঘরে আসছে। সেই ইউটিউবের ভিডিও তৈরির জন্য তার তিনজন স্টাফও আছে। তারাই সব সামলায়। মালবিকা দেবীর কাজ শুধু পারফর্মেন্সটুকু ঠিকঠাক দেওয়া।

গাড়ি এসে পৌঁছেছে সবুজ সংঘের প্যান্ডেলের কাছে। বিরাট মঞ্চ। মাইকের আওয়াজে গমগম করছে চারদিক। মালবিকা সেনের পিএ সোমা গাড়ি থেকে নেমে চলে গেল উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলতে। কারণ ফুল পেমেন্ট অনুষ্ঠানের আগে না পেলে দিদি গাড়ি থেকে নামেন না। তাই তাকে দিয়ে যদি প্রোগ্রাম করাতে হয় তবে…

****

চারদিকে উলুধ্বনি আর শঙ্খ বাজার শব্দ। সন্ধ্যার গায়ে ক্রমশ অন্ধকারের চাদর চড়ছে। জঙ্গল ঘেরা এ বাড়িতে অন্ধকার আরও তীব্রতর। বিমলবাবু সেই যে শুয়েছেন, এখন সাতটা পেরিয়ে গেছে। ওঠেননি। শেষ তিনদিন ধরে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছেন। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা ভাবেননি তা নয়। তবে মেয়ের কাছে হাত পেতে আর কত চাইবেন! একটা কুকুর দূরে ঘেউ ঘেউ করে ডাকছে। বৃষ্টির ঝিরিঝিরি শব্দ ভেদ করে সে চিৎকার ভেসে আসছে। পাশের বাড়িতে খুব জোরে সান্ধ্য সিরিয়াল চলছে। টেলিভিশনের শব্দ, বৃষ্টির শব্দ, কুকুরের ঘেউ ঘেউ আর এই তীব্র অন্ধকার। লেখার ঘরে এখনো শুয়ে আছেন কবি বিমল বসু।

ড্রাইভার গাড়ি ঘোরাবে প্রায় ঠিক হয়ে গেছে। মালবিকা দেবী স্পষ্ট জানালেন, এত দেরি করলে প্রোগ্রাম করা সম্ভব না। আটটায় নৈহাটির অনুষ্ঠান। এখনো কথা চলছে সোমার সঙ্গে উদ্যোক্তাদের। হঠাৎ সব শান্ত হলো। একটা খাম থেকে পাঁচশ টাকার নোটগুলো বের করে গুনে নিলো সোমা। শেষবারের মতো মোবাইলের ফ্রন্ট ক্যামেরা অন করে একবার সাজটা দেখে নিয়ে গাড়ির দরজা খুলে নামলেন মালবিকা সেন। গ্রিনরুমে একটু গলায় জল ঢেলে সরাসরি মঞ্চে। প্রাথমিক ভনিতা শেষে প্রথম কবিতা আবৃত্তি হলো। ‘কবিতা ‘লক্ষ্মীটি’। কবি বিমল বসু…’ দর্শক মুগ্ধ হয়ে সম্মোহিতের মতো তাকিয়ে আছে মঞ্চের দিকে। সোমা তখন একটা সিগারেট ধরিয়ে কাকে যেন ফোনে বলছে, ‘দাদা আগেই তো বলেছিলাম ১ ঘণ্টার প্রোগ্রাম, এর কমে হবে না…’

****

চারদিকে সব শান্ত। নিজের ছায়াও হারিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারে। নিকষ এই তমসা ভেদ করে একটা প্যাঁচা কোথাও ডেকে যাচ্ছে অনবরত। রাত আটটায় সনাতন সমিতির হলঘরে একটা কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান। হালকা হলুদ পাঞ্জাবিটা গায়ে চাপিয়ে বেরিয়ে পড়েছে রমেন। রমেন এখন বিমলবাবুর পাঁচিলের পাশ দিয়ে অন্ধকার ঠেলে এগোচ্ছে। সে জানে না, কখন যেন অন্ধকারও অজান্তে তার পিছু নিয়েছে।

এসইউ/জেআইএম

আরও পড়ুন