মোমিন মেহেদীর দুটি কবিতা
একচিলতে চঞ্চল মায়া
অবারিত আনন্দকে জমা করছি প্রতিদিন। আমার আনন্দ বলে আজ কিছু থাকতে নেই। কেননা, চারপাশে কেবলই কষ্ট।
কষ্টস্নাত মানুষের জন্য যদি এতটুকু ত্যাগ না করি; তাহলে কিসের রংধনু, কিসের রথযাত্রা। পরিত্রাণ দেওয়াটা প্রয়োজন তাই
ভাগ করে নেই সবার কষ্ট। আমি যদি রোদ হয়ে এগিয়ে যাই যুদ্ধের দিকে। তবে হয়তো আসতে পারে আনন্দবাতাস।
যা সবাই ভাগ করে নিতে পারবে। সবাইকে ভাগ করে দিতে চাই বিকেলের রোদ। কেননা, এই রোদ আমাকে শান্তির সুবাতাস দিয়েছিল। দিয়েছিল এক পশলা আনন্দ আর একচিলতে চঞ্চল মায়া। সেই মায়ার টানে মুগ্ধ আমি পথ হেঁটে যাই হেসে। আনন্দকে জমাই কেবল, ভোগ করি না মানুষ ভালোবেসে। ভালোবাসার রথযাত্রা, ভালোবাসার টান নিত্য আমায় করছে যে আনচান...
****
শেষ আলোতে তীর
প্রায় প্রতিদিন ভোর হয় কষ্টের ডাকে; মাঝে মাঝে হেরফের হলে হয়; তাও খুব বেমানান।
নীলাভ রোদের রঙে সেজেগুজে একাকার রথ।
সূর্যালো সুখে হয়; দুখে দিন গড়াতে থাকে
একা একা। মনের ঘরে উঁকি মারে শৈশব সঙ।
সেখানে সে জোনাক পোকার সাথী
সেখানে সে ঝিঁঝিঁ পোকার প্রীতি
সেখানে সে মাছরাঙাদের মিতা
সেখানে সে এলোমেলো হাওয়া
সেখানে সে বাঁকা মেঠোপথ
সেখানে সে নৌকা-লাঙল কিংবা ধানের শীষ
সেখানে সে শেষ আলোতে তীর
ইচ্ছে হলেই আর হতে পারে না শৈশবের সেই সুন্দর সুখ।
সেখানে সে মালকোচা মারা দূরন্ত রোদ।
রোদের যেমন নীল ভালো লাগে; তেমনি ভালো লাগে তাঁর।
কিন্তু উপায় আজ বড় নিরুপায়।
স্বপ্ন বলে আজ আর কিছু না থাকলেও অবশিষ্ট আছে আগামী।
আগামীর সিঁড়ি বেয়ে আলোকিত হয়ে ওঠে ঠোঁট। ঠোঁটের-ই বা দোষ কি আলোকিত হয় যদি।
সঙ্গে থাকে শৈশবগাঁথা থৈ থৈ স্মৃতিজল; কলকল করে ছোটে জীবনের রংধনু-আকাশ আর
একান্ত তিল তিল করে গড়া অনবদ্য অনন্য পথ...
কবি: ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক পূর্বাভাস।
এসইউ/জেআইএম