আয়শা সাথীর কবিতা
আফসোস তোকে দিলাম ছুটি এবং মেঘবালিকা
আফসোস তোকে দিলাম ছুটি
মহাবিশ্ব সমান আফসোস তোমায় না পাওয়ার!
সময় অসময়ের বৃষ্টিতে, চেনা পথটায় হাঁটতে গেলে
নয়তো চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে...
হ্যালুসিনেশনে তোমার মুখের আবছায়া।
‘আফসোস’ নামক আমরণ ব্যাধির সনে বাস আমার।
একজনমে কত আফসোসের গোর হয়েছে সঙ্গোপনে,
আঠারো ইঞ্চি বুকটায় সাত সমুদ্র সমান হাহাকার!
তুমিহীন জীবনের সবটাই আফসোস!
সপ্তাশ্চর্যের মত আশ্চর্য মিশ্রণে দেখি—
যাকে প্রশ্রয় দিয়ে নিঃশেষিত হচ্ছি প্রতিনিয়ত
ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছি শূন্যতার অতল গহ্বরে,
তার সুবিস্তৃত মহীরুহের শাখা-প্রশাখায়
আমার খড়কুটো বাসের সামান্য স্থান সংকুলানহীন!
তাই তো, একদিন তোমাকে না পাওয়ার
নীল বেদনাটাকে ছুটি দিলাম।
নিজেকে বোঝালাম—
যাকে পাইনি, তাকে না পাওয়াতেই আমার পূর্ণতা।
বলবে, ‘মিথ্যে সান্ত্বনা’। বলাই যায়!
কিন্তু যে মিথ্যে ভালো রাখে,
সে মিথ্যেকে আমি চোখ বন্ধ করে ভালোবাসি।
যে আমার হলো না, তার তরে আফসোসে গলা ফাটিয়ে
যা কিছু আমার রইলো
তার প্রতি অবিচার করার কোনো মানেই হয় না।
****
মেঘবালিকা
ও মেঘবালিকা
যেও না একা,
ঝরে যাও আজি শ্রাবণ-বারির মতো।
স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় ঘোচাও আজি
আমার আমির যত ক্ষত।
হাহাকার প্রিয়া
ভিজবে হিয়া,
ডুববে আজি মুগ্ধতার বিমগ্নতায়।
হীম কাঁপনে জমবে হৃদয়
প্রেম পবনের শীতল ছোঁয়ায়।
ঝরে পড়
স্পর্শ কর,
শীতল ঠোঁটের আবেগী চুমুর মতো।
শুষ্কজলা পূর্ণতায় ছুঁয়ে
জীবনটা হোক আজ জীবন্ত।
ওহে দামিনী
নব রাগিনী,
আজি ব্যথার খরা পড়বে বাঁধা তোমার ঋণে।
বেসামাল মন ঠিকানা হারা
প্রেম প্রণয়ের বাদল দিনে।
ও মেঘবালিকা
আমিও যে একা,
তোমার ধারায় ভিজব আজি আপন মনে।
সিক্ত পরান বলবে আজি—
‘এই তো বেঁচে থাকার মানে।’
এসইউ/