ভিডিও EN
  1. Home/
  2. সাহিত্য

‘আল মাহমুদ তাঁর সৃষ্টি দিয়েই বেঁচে থাকবেন’

সাহিত্য ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:৪০ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২৪

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হল কবিতা, গান, স্মৃতিচারণা ও আলোচনার মধ্য দিয়ে। এতে উপস্থিত ছিলেন দেশের বেশ কজন কবি, সাহিত্যিক ও গবেষক। আল মাহমুদ তাঁর সৃষ্টির মধ্যেই বেঁচে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন তারা।

১১ জুলাই সন্ধ্যায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে কালের কলস লেখক সম্প্রীতি ও শিল্প-সাহিত্যের কাগজ জলছবির উদ্যোগে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক।

‘তারুণ্যের মননে আল মাহমুদ’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন কবি নাসির আহমেদ, আসলাম সানী, রেজাউদ্দিন স্টালিন, মারুফ রায়হান, শাহীন রেজা, জাকির আবু জাফর, গবেষক ড. কাজল রশীদ শাহিন, অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ড. ফজলুল হক তুহিন, প্রকাশনা সংস্থা বাতিঘরের স্বত্বাধিকারী দীপংকর দাশ প্রমুখ।

কবির কবিতা থেকে গান পরিবেশন করেন শিল্পী আমিরুল মোমেনীন মানিক। অনুষ্ঠানে আবিদ আজম সম্পাদিত প্রকাশনা ‘তারুণ্যের মননে আল মাহমুদ’-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জলছবি সম্পাদক কবি জামসেদ ওয়াজেদ।

আয়োজনের শুরুতে কবি আসাদ চৌধুরী, অসীম সাহা ও মাকিদ হায়দারের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাকির আবু জাফর বলেন, ‘বাংলা ভাষায় নিজস্ব স্বর নির্মাণ করেছেন এমন অনেক কবি রয়েছেন। এর মাঝেও আল মাহমুদ আমার সবচেয়ে প্রিয় কবি। কারণ তিনি যে বাংলাদেশকে রূপায়িত করেছেন; সেই বাংলাদেশ মানুষের হৃদয় থেকে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশ। শহর এবং গ্রামের মধ্যে একটি আন্তঃনদী স্থাপন করেছেন আল মাহমুদ। স্বাভাবিতভাবেই এটি অন্য কারো কবিতায় আমি অন্তত পাইনি।’

আল মাহমুদকে নিয়ে বাংলা সাহিত্যের পাঠকদের মাঝে বিভক্তি আছে বলে মনে করেন গবেষক ও সাংবাদিক ড. কাজল রশীদ শাহিন। এর জন্য কবির সৃষ্টি পাঠের সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে তার ধারণা। তিনি বলেন, ‘আল মাহমুদ অনেকটা গলার কাঁটার মতো। তাকে গেলাও যায় না, আবার ফেলাও যায় না।’

তিনি বলেন, ‘আল মাহমুদকে কাঁটাওয়ালা মাছ বলার মানে হলো বাংলা সাহিত্যে তিনি অপরিহার্য ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মাছ বেশি বেশি করে খেতে হবে।’

কবি আসলাম সানী বলেন, ‘আল মাহমুদকে আমি জীবন্ত বাংলাদেশ মনে করি। শৈশবে তার ছড়া আমাদের কী উজ্জীবিত করেছিল ভাবা যায় না। বিশ্বের যারা দ্রোহের কবি তাদের কাতারে তাঁর অন্যতম স্থান রয়েছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘আল মাহমুদ কবি পরিচয়ের বাইরেও গল্পকার হিসেবেও খুব গুরুত্বপূর্ণ। সম্ভবত আল মাহমুদ একমাত্র কবি, যার কবিতায় দাম্পত্য আছে। সবচেয়ে ট্রেডিশনাল ছন্দে সবচেয়ে অসাধারণ কবিতা লিখেছেন তিনি।’

কবি মারুফ রায়হান বলেন, ‘কবি শামসুর রাহমানের প্রতিপক্ষ করে অকারণে আল মাহমুদকে টেনে আনা হয়। আমি আল মাহমুদের কাছে গিয়েছি। আমি রাহমান ভাইয়ের কাছেও গিয়েছি। দুজনের কেউই কারো বিরুদ্ধে বিরাগভাজন ছিলেন না। কবিরা প্রকৃতির সন্তান। তাদের মধ্যে বিভেদ হয় না।’

দীপংকর দাশ বলেন, ‘আল মাহমুদ আমাদের জাতির জন্য অনেক বড় কবি। একটা দীর্ঘ সময় পরে এমন বড় কবি আসেন। আল মাহমুদকে তেমনই অনেক অপেক্ষার পরে বাঙালি পেয়েছে। তাকে অস্বীকার করা যাবে না। তাকে অস্বীকার করলে নিজেকেই অস্বীকার করা হবে।’

অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন আল মাহমুদ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও কালের কলস সম্পাদক আবিদ আজম।

এসইউ/জেআইএম

আরও পড়ুন