শুভজন পদক পাচ্ছেন অভিনেতা ও লেখক ডা. এজাজ
‘মানবিক মানুষ চাই’ স্লোগান ধারণ করে শুদ্ধধারার সাহিত্য ও সংস্কৃতি কর্মীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে শুভজন। সংগঠনটি দেশীয় শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে অবদান রেখে ১২ বছরে পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে শুভজন পদক দেওয়া হবে।
তারই ধারাবাহিকতায় ‘শুভজন পদক ২০২২’ পাচ্ছেন নন্দিত অভিনেতা ও লেখক ডা. এজাজুল ইসলাম। দেশের শিল্প-সংস্কৃতি, চিকিৎসা ও মানব সেবায় অসামান্য অবদানের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাকে এ পদক দেওয়ার পাশাপাশি ‘শুভজন’ উপাধিতে ভূষিত করা হবে।
আগামী ১৭ আগস্ট বিকেল ৫টায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের মুক্তিযোদ্ধা মিলনায়তনে শুভজনের যুগবর্ষ পদার্পণ উৎসবে এ পদক তুলে দেওয়া হবে।
ডা. এজাজুল ইসলাম ১৯৮৪ সালে রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) থেকে নিউক্লিয়ার মেডিসিনে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। অভিনয় জগতে তার পদার্পণ নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরে। তিনি ‘আমার হুমায়ূন স্যার’ নামে একটি বইও লিখেছেন।
আরও পড়ুন
‘তারকাটা’ চলচ্চিত্রের জন্য ৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি সরকার নির্ধারিত ৩০০ টাকা ফিতে রোগী দেখেন এবং তার ভিজিট ফি কম হওয়ায় তাকে ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে ডাকা হয়।
দেশের সার্বিক উন্নয়নে সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্পকলা বা সমাজ বিনির্মাণের বিভিন্ন শাখায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশি বা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিককে প্রতি বছর দেওয়া হয় ‘শুভজন পদক’। বিগত ১০ বছর যাবত এ পদক দেওয়া হচ্ছে।
পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তির জন্য পুরস্কার হিসেবে নগদ দশ হাজার টাকা মূল্যমানের প্রাইজ বন্ড, নির্দিষ্ট নকশার ব্রোঞ্জ অ্যাওয়ার্ড ট্রফি, শংসাপত্র অন্তর্ভুক্ত থাকে। কোনো ব্যক্তি একবার ‘শুভজন পদক’ পেলে তাকে পরবর্তীতে পদকের জন্য বিবেচনা করা হয় না। প্রাথমিকভাবে শুভজন মরণোত্তর পদক দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত নেই বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় নির্বাহী পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক তরুণ রাসেল।
এ পর্যন্ত শুভজন পদক পেয়েছেন- কবি আসাদ চৌধুরী (২০১৪), কামাল লোহানী (২০১৫), কবি কাজী রোজী (২০১৬), ড. আতিউর রহমান (২০১৭), শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার (২০১৮), সৈয়দ হাসান ইমাম (২০১৯), সৈয়দ আবদুল হাদী (২০২০) এবং কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন (২০২১)।
এসইউ/এমএস