ব্রাশস্ট্রোকস্ অব ফ্রেন্ডশিপঃ পথচলার ৩০ বছর
গত সপ্তাহে লালমাটিয়ার ‘আর্ট বাংলা গ্যালারি’ তে আয়োজন করা হয় একটি গ্রুপ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। যার নাম দেয়া হয়েছিল ‘ব্রাশস্ট্রোকস্ অব ফ্রেন্ডশিপ’। একই ব্যাচের ২৫ বন্ধু মিলে তাদের একসঙ্গে পথচলার ৩০ বছরপূর্তির মিলনমেলা ছিল এটি। শিল্পি বন্ধুরা হলেন শান্তা বশিরুন্নিসা, নাসির আহমেদ, অমল আকাশ, শর্মিলা আক্তার, আফরিন সুলতানা, আবু রিয়াদ খান, সাইদুর রহমান, রিপন কুমার দাস, আসমা সুলতানা, নাফিস আহমেদ, অনিন্দিতা দত্ত, সুমনা আক্তার, ইসরাত জাহান মুনমুন, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহমুদ হোসেন তৌফিক, মোল্লা সাগর, মনিরুল ইসলাম, শামিম রেজা, অয়ন মজুমদার, নিলয়, হারুন-অর-রশিদ, কামরুন নাহার, রাজ্জাক প্রধান, ফাহমিদা খাতুন ও সাইমা নেহরিন নিলা।
জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে সাত দিনব্যাপি এই প্রদর্শনীটির আয়োজন করা হয় লালমাটিয়ার ‘আর্ট বাংলা গ্যালারি’ তে। শিল্পপ্রেমিদের জন্য এক নব দিগন্ত উন্মোচিত হয়। স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত এই পঁচিশজন বন্ধুর গ্রুপ শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে ৩৬টি শিল্পকর্ম স্থান পায়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাজ্জাক প্রধানের দুটি শিল্পকর্ম। একটি হচ্ছে ‘হারভেস্টেড ড্রিমস’ [Harvested Dreams]।
‘হারভেস্টেড ড্রিমস’ একটি জোরদার উপনিবেশিক ভাস্কর্য, যা শ্রমজীবী মানুষের সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণের স্বপ্নকে তুলে ধরে। ভাস্কর্যটি মানুষের চিন্তার উদ্রেক করে — স্বপ্ন পূরণের আশায় মানুষ গুলো কতটা শ্রমশীল হয়ে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খনিতে কাজ করে। তাদের পরিবেশ, মন ও শরীর অবিচ্ছিন্ন প্রত্যৎত্থান ও সফলতা প্রাপ্তির স্বপ্নের মধ্যে শয্যা হয়ে যায়। যা এক জীবনের অসম্পূর্ণ উদ্দেশ্যের একটি প্রবণ চিত্রন। এই ভাস্কর্যটি একটি শক্তিশালী মন্ত্রণা হিসেবে কাজ করে। যারা দেশ বা সমাজকে চাকা ঘুরিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায় কিন্তু তাদের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণের স্বপ্নকেই স্বর্ণ দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
মন ও শরীর অবিচ্ছিন্ন প্রত্যৎত্থান ও সফলতা প্রাপ্তির স্বপ্নের মধ্যে শয্যা হয়ে যায়। যা এক জীবনের অসম্পূর্ণ উদ্দেশ্যের একটি প্রবণ চিত্রন। এই ভাস্কর্যটি একটি শক্তিশালী মন্ত্রণা হিসেবে কাজ করে। যারা দেশ বা সমাজকে চাকা ঘুরিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায় কিন্তু তাদের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণের স্বপ্নকেই স্বর্ণ দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
আরেকটি হচ্ছে ‘শ্যাডোড ডেসটিনি: আ জার্নি থ্রু ডার্কনেস’ [Shadowed Destiny: A Journey through Darkness]। ‘শ্যাডোড ডেসটিনি’ প্রতিকূলতার মুখে নিরলস সাধনার মর্মকে ধারণ করে। একটি অন্ধকার, চাঁদনী রাতের আবহে পেইন্টিংটিতে একটি ঘোড়াকে এবড়োখেবড়ো পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে দৌড়ানো চিত্রিত করা হয়েছে, তার পথ খুব কমই দৃশ্যমান।
ছায়ার সম্পূর্ণ বৈসাদৃশ্য এবং চাঁদের রূপালী আভা ঘোড়ার দৃঢ় সংকল্প এবং অটুট চেতনাকে তুলে ধরে। নিদারুণ অথচ শক্তিশালী চিত্রকল্প একটি মর্মস্পর্শী অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে— বাধা যাই হোক না কেন, অধ্যবসায় সবসময় একজনের লক্ষ্য অর্জনের দিকে নিয়ে যায়। এই উদ্দীপক অংশটি মানুষের আত্মার স্থিতিস্থাপকতার একটি প্রমাণ, দর্শকদের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও টিকে থাকতে উৎসাহিত করে।
এইচআর/জেআইএম