আব্দুল্লাহ নাজিম আল মামুনের কবিতা
সাক্ষাৎ
বাইরে ঝুম বৃষ্টি চোখে নেই ঘুম;
এর মধ্যেই আমি তোমার কথা ভাবছি
তোমার কাজল কালো চোখ আমার সামনে ভাসছে
আমার চেতনায়, স্বপ্নে শুধু তুমি আছো—
চলো একদিন আমরা দেখা করি
নদীর পাড়ে বসি
কথা বলি
হাসি
আমি চুপ করে থাকবো না সেদিন
তোমাকে কাছাকাছি আসার গল্প শুনিয়ে
বসিয়ে রাখবো আমার সাথে পুরো একটা দিন
সময় কাটানোর জন্য পকেটে নিয়ে রাখবো বাদামের প্যাকেট
গল্পের মাঝখানে দুজন ভাগাভাগি করে খাবো
আর তোমাকে দেখবো সুনজরে
দেখতেই থাকবো
যেন তুমি অনন্তকালের জন্য শুধু আমার
আর কারো নও।
তোমার কপালের টিপ
হাতের চুড়ি
পায়ের নূপুর
সেদিন খুব নজর দিয়ে দেখবো
কান পেতে শুনবো
তোমার হাঁটার রিনিঝিনি শব্দ।
যেদিন তোমাকে আমার করে পাবো
তখন বলবো আমার জীবনের অর্ধেক পৃথিবী তুমি
বাকি অর্ধেক সৃষ্টিকর্তার।
**
বিচ্ছেদ
তুমি ছেড়ে চলে গেলে—
আমার আর কিছুই করার থাকবে না
কেবল তোমার হাঁটার দিকে চেয়ে থাকা ছাড়া।
বরং আমার মনে পড়ে যাবে
মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা সব শব্দ
একসাথে হবে সব বাক্য
পুরোপুরি লেখা হবে একটা কবিতা
বিচ্ছেদের কবিতা।
কয়েক রাত ঘুম আসবে না
টেনশনে মাথা ভারী হয়ে যাবে
তখন তোমাকে নিয়ে লিখতে পারবো বেশ
তারপর কয়েকদিন যেতে না যেতে তোমাকে ভুলে যাবো।
জীবনের মুড ঘুরিয়ে নেবো।
তারপর অন্য কেউ আসবে জীবনে—আলো নিয়ে
সেও আমাকে প্রেম শেখাবে
ছাত্রের মতো পড়াবে
যেন আমি কিছুই জানি না!
**
নয়নতারা
তোমার হাত ধরে শত মাইল পাড়ি দেওয়া যায়
তোমাকে হৃদয়ের ভেতর আগলে রেখে কোনো কারণ ছাড়াই ভালোবাসা যায়।
তুমি আমার নয়নের একমাত্র তারা
আমি নয়ন! তোমার জন্য অপেক্ষা করতে পারি হাজারো বর্ষা, শীত, গ্রীষ্মের প্রহর
ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারি হাজারো দুপুর
তুমি যে আমার প্রেমের একমাত্র নয়নতারা
আমার ভেতরে বাইরে শুধু তুমিই
তোমার নয়নে ডুবন্ত নয়ন আর ফেরানো যায় না
তোমার ভালোবাসা যেন আমার প্রেম দিয়ে কেনা।
তোমার সাথে আমার কত স্মৃতি
মস্তিষ্কজুড়ে শুধু তুমি আর তুমি।
তোমাকে নিয়ে অনায়াসে লিখে ফেলা যায় কবিতা
তোমাকে দেখলে যেন নয়নে বসন্ত নেমে আসে।
এসইউ/এমএস