নুসরাত সুলতানার দুটি আঞ্চলিক কবিতা
স্নানের ব্যাকরণ
স্নানের ব্যাকরণ তুমি জানো না গোঁসাই?
স্নানে নামলে ডুব দেতে অয়।
খাঁড়াইয়া খাঁড়াইয়া যদি মগ দিয়া পানি ঢালো
হেইডারে আবার স্নান কয় নাকি?
পেরেম অইল এইরহম সমুদ্দুরে স্নান।
তাতে ডুব দেওন লাগে।
যে সমুদ্দুরেও নামে আবার ডুবও দেয় না
সে ভেজে কিন্তু স্নানের সাধ পায় না গোঁসাই।
আসলে কি কও তো—সে তাবৎ দুইন্নাইকে
ঠগানোর আগেও নিজেরে ঠগায় সবচাইক্কা বেশি।
কেবল ভাবে কী সুখ আমিই জিইততা গেছি...
****
চায়ের মইদ্দে
চান্দের মইদ্দে ফান্দের কতা ক্যান কও সোনাই?
আমি কই টান আর তুমি কও মহাকর্ষণ।
অই টানের লইগ্যাই আমি তোমারে আমার দিকে টানি
তুমি টানো আমারে তোমার দিকে।
হের বাদেই আমরা খাড়াইয়া থাকি যার যার জায়গাত।
আমি কই চান্দ উটলে নদীর বুক ফুইল্ল উডে।
তুমি কী ছাইপাশ কও—ভরাকটাল, মরাকটাল।
হুনো কইতর, ভালো কইরা হুনো
জগৎ চলে পেমের বানে।
সবচাইক্কা বড় বিজ্ঞান পেম।
তয় একটা জিনিসে তোমার আমার দুইজনের
মিল আছে—হেইডা অইল
তুমি-আমি কেউই অমরত্ব চাই না।
হ্যারচাইক্কা লও চায়ের মইদ্দে
টোস বিস্কুট চুবাইয়া চুবাইয়া খাই।
এসইউ/এএসএম