নাহিদ হোসাইনের তিনটি কবিতা
শ্রাবণধারার দিনে
শ্রাবণধারায় দেখা হলো
শীতল হাওয়ায় তোমার চুল এলোমেলো।
সূর্য হারালো মেঘের ছায়ায়
আমি হারিয়েছি কাজল চোখের মায়ায়
রিমঝিম বৃষ্টিতে কিছুক্ষণ
হয়েছিল আলাপন।
ইচ্ছে করে বৃষ্টি হয়ে যাই
ক্লান্ত দুপুরে তোমাকে ভেজাই।
পাশে রবো শীতল স্পর্শে
ত্রিপ্রহরে প্রণয়ের আবেশে।
****
দ্বিধা
অদ্ভুত এক বেড়াজালে আটকে যাচ্ছি
সময়ের স্রোতে নিজেকেই হারাচ্ছি
কে তুমি, কেন এত অসহায়?
কত সুনিপুণ দক্ষতায় করো অভিনয়।
ঘৃণা, ঈর্ষা, অবহেলায় পুঞ্জীভূত যে মন
ভালোবাসার বীজ কী করে হবে বপন?
বিনিদ্র রাতে খোলা জানালার পাশে
ভেজা চোখে হারাও স্বপ্নের দেশে।
দ্ব্যর্থবোধক উত্তরে সাজানো পঙ্ক্তিমালায়
বৈরী সত্তার ঈন্দ্রজালে বন্ধ লেখা পাতায়
বাক্সবন্দী উত্তরগুলো মেলবে কখন ডানা?
দ্বিধার আড়ালে তুমিটাই আমার অনেক দিনের চেনা।
****
আক্ষেপ
আমার যত ইচ্ছে ছিল মায়াজালে বোনা
নীরবতার অভিমানে হারিয়ে গেল, হয়নি কখনো শোনা।
কে তুমি?
তীব্র কটাক্ষ আলাপনে পিশাচের আনন্দ পাও।
কে তুমি?
ক্লান্তহীন পথে আজ বন্দি আমি দ্বিধার বেড়াজালে।
আমার সকল অবুঝ চাওয়া তোমায় ঘিরে
রঙিন ঘুড়ি চলে প্রণয়ের নীড়ে
ভুলে গিয়ে সব পিছুটান
বিসর্জন দাও আজ অভিমান।
আর কতকাল, কতদূর, কত সময়?
যেখানে ইচ্ছেগুলো পূর্ণতা পায়, নেই কোনো ভয়।
এসইউ/এএসএম