ভিডিও EN
  1. Home/
  2. সাহিত্য

তপন বাগচীর পক্ষে বিবৃতি দিলেন ১৮ জন ফেলো

সাহিত্য ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:২৭ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪

লোকগবেষক ড. তপন বাগচীর একটি সম্পাদনাকর্ম নিয়ে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ তুলে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ইকবাল জাফর ও মহসীন দেওয়ান লিটন নামে দুই সম্পাদক। তারা তপন বাগচীর নামে এ বছর ঘোষিত বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বাতিলেরও দাবি জানিয়েছেন। 

এই দুই সম্পাদকের অভিযোগের বিষয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত ১৮ জন ফেলো। ৩০ জানুয়ারি কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানা গেছে।  

এতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি যে, তপন বাগচী সম্পাদিত ‘মাতাল রাজ্জাক গীতিমালা’ গ্রন্থের সঙ্গে পূর্ববর্তী সম্পাদিত গ্রন্থের মিল নেই। প্রচ্ছদ, ভূমিকা, সূচিপত্র এবং গানের বিন্যাস ও আলোকচিত্রও আলাদা। মাতাল রাজ্জাকের পুত্র শিল্পী কাজল দেওয়ান এবং মমতাজের ভূমিকাও সাক্ষ্য দেয় যে এটি স্বতন্ত্র সংকলন। এই গ্রন্থের স্বত্বও রয়েছে মাতাল রাজ্জাকের পরিবারের হাতে।’ 

আরও পড়ুন: লোককবিদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস লেখার পরিকল্পনা আছে

এতে আরও বলা হয়, ‘তপন বাগচী একটি গানও নিজের বলে দাবি করেননি। তাই এই সংকলন নিয়ে চুরির অভিযোগ হাস্যকার। এর সূত্র ধরে এ বছর ঘোষিত তার পুরস্কার বাতিলের দাবি অবান্তর ও অনভিপ্রেত। বাংলা একাডেমি কোনো নির্দিষ্ট গ্রন্থের ওপর পুরস্কার দেয় না। বাংলা একাডেমি পুরস্কার দেয় কোনো লেখকের সামগ্রিক রচনাকর্মের ওপর ভিত্তি করে। ‘বাংলাদেশের যাত্রাগান: জনমাধ্যম ও সামাজিক পরিপ্রেক্ষিত’, ‘লোকগানের খোঁজে’, ‘লালন মতুয়া লোকসংগীত অন্বেষণ’, ‘লোকসংস্কৃতির কতিপয় পাঠ’ গ্রন্থগুলোই তার ফোকলোরচর্চার প্রমাণ বহন করছে।’

সবশেষে বলা হয়, ‘তপন বাগচী একজন পরিশ্রমী ও গুণী গবেষক। তাকে ফোকলোর বিভাগে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করায় আমরা বাংলা একাডেমিকে অভিনন্দন জানাই। একই সঙ্গে তপন বাগচীর বিরুদ্ধে ঈর্ষা ও বিদ্বেষপ্রসূত এই ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’   

আরও পড়ুন: সিনেমা-কবিতায় ভালো কাজ করার যোগ্যতা রাখি: মাসুদ পথিক

বার্তায় স্বাক্ষরদাতা বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত ফেলোরা হলেন- বিজ্ঞানলেখক ও শিশুসাহিত্যিক তপন চক্রবর্তী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ফোকলোরবিদ ড. আবুল আহসান চৌধুরী, একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক ড. হরিশংকর জলদাস, কবি, গীতিকার ও প্রাবন্ধিক আবিদ আনোয়ার, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, নাট্যকার ও অনুবাদক আবদুস সেলিম, কবি ফারুক মাহমুদ, কবি ড. বিমল গুহ, নাট্যকার মলয় ভৌমিক, কবি ও কথাসাহিত্যিক ঝর্না রহমান, নাট্যকার ও ফোকলোরবিদ ফরিদ আহমদ দুলাল, শিশুসাহিত্যিক রফিকুর রশীদ, প্রাবন্ধিক ও ফোকলোরবিদ ড. স্বরোচিষ সরকার, শিশুসাহিত্যিক রহীম শাহ, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ ড. রতন সিদ্দিকী, শিশুসাহিত্যিক সুজন বড়ুয়া, শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফ, কবি ও ফোকলোরবিদ ড. আমিনুর রহমান সুলতান।

এসইউ/এএসএম

আরও পড়ুন