শাহারুল ইসলাম সুজনের ৩টি শীতের ছড়া
শীতের আগমন
ষড়ঋতুর রদবদলে শীতের আগমন,
ঠান্ডা মেখে শীতের বায়ু বইছে যে শনশন।
হিম কুয়াশার চাদরঢাকা শীতের সকাল বেলা,
চারিদিকে শীতের পাখি জমায় সুরের মেলা।
শিশির ভেজা ঘাসের বুকে রবির আলো পড়ে,
হীরের মতো ঝিলিক মেরে মনটা সবার কাড়ে।
ঠান্ডা রুখে কাজের মানুষ ছোটে আপন কাজে,
ছেলে-মেয়ে বেরিয়ে পড়ে খেলার সাথীর খোঁজে।
পাকা ধানের নতুন চাউল খেজুর রসের মিঠা,
শীতের মজা দেয় বাড়িয়ে মায়ের হাতের পিঠা।
সবার গায়ে রং বাহারি শীতের পোশাক দেখি,
কষ্টে ভোগে গরিব-দুঃখী শীতটা এলে সে কী!
আগুন পোহায় বৃদ্ধ-শিশু খড়-কুটো রোজ জ্বেলে,
এই ঋতুতে জমিন ভরা সবজি নানান মেলে।
সবার মনে খুশির জোয়ার শীতের আগমনে,
এমন ঋতুর নতুন চমক স্বপ্ন নিতুই বোনে।
****
শীত মেখেছে
শীত এসেছে শীত মেখেছে
ভোরের হিমেল হাওয়া,
শীত মেখেছে চারিদিকে
হিম কুয়াশার ধাওয়া!
শীত মেখেছে সোনার রবি
তেজ গিয়েছে কমে,
শীত মেখেছে সবার গায়ে
শীতল হয়ে জমে।
শীত মেখেছে দূর্বাঘাসে
শিশির কণার সাথে,
শীত মেখেছে খেজুর গাছে
রসের ধারায় মাতে।
শীত মেখেছে নদী-নালার
স্বচ্ছ সাদা পানি,
শীত মেখেছে খোদার গড়া
রঙিন এদেশখানি।
****
বুড়ো দাদা
ঠান্ডাপুরের শীতের বুড়ি
আসবি যদি আয়,
হিম কুয়াশার চাদর পরে
লাল-সবুজের গায়।
রুখে দেবে বুড়ো দাদা
নেই কোনো ভয়-ভীতি,
লাঠির ধাঁধায় দেখাবে তার
যুবককালের নীতি!
দুদিন বাদেই কনকনে শীত
যেই ধরেছে গীত!
থরথরিয়ে কাঁপছে ভীষণ
দাদার সাহস চিৎ।
কাঁথার নিচে কুঁকড়ে দাদা
বলছে সন্ধ্যা-ভোরে,
শীতের বুড়ি বড়ই পাজি
পারছি না তার জোরে।
বয়সটা কি কম হয়েছে
বাঁচতে যে চাই ঢের!
শীতবুড়িকে বল না যেতে
আসতে বলিস ফের।
এসইউ/এমএস