শায়লা জাবীনের দুটি কবিতা
কতটুকুই বা স্মৃতি
তেমন টেনে লম্বা করার মত কিছু নয়, অল্পই
চাইলেই চীনা বাদামের বাদামী আস্তরণের মত
ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেয়া যায়...
কিন্তু যাচ্ছে না কেন জানি!
শলার ঝাড়ু দিয়ে মন ঝাড়ু দিয়ে ফেলার পর যেটুকু থাকে
ঘর মোছার ভেজা তেনা নিংড়ানো জলের চেয়েও কম,
সেইটুকু না হয় থাক
আর যেটুকু এখন দেখছো...
এইটুক ভুলে গেলে তো মেহগনি কাঠের বাস্ক
তালা দেয়া আট কুঠুরী নয় দরজার সীমানা
আর সেই গানটার মত...
নাইবা বলি আজ
মনে রেখেছো জানি,
ওটুকুতেই কাজ
বেলা বয়ে যায়
হারিকেন প্রদীপ জ্বলে মোম শুধু গলে
আলো ছায়ায় দৃষ্টিগোচর হয় নাদেখা কিছু
মনের গোচর হয় না জানা সবকিছু
অভিস্রবন প্রক্রিয়ায় জল ঢোকে
যন্ত্রনাকে মিইয়ে ফেলার আশায়
মিঠা প্রলেপ পলেস্টারা নানা রঙের পলিশ
পারলো কি ঢেকে দিতে নীল বেদনায় স্তব্ধ বেগুনী হৃদয়?
আচ্ছা তবে আসি...
ভালো থেকো হাসি খুশি
যদি না হয় আর দেখা, থাকুক ভালোবাসা...
শোন,
তোমায় অনেক ভালোবাসি।
যতটুকু তুমি ভাবতে পারো
তার চেয়ে খানিক বেশি...
যতটুকু তুমি বুঝতে পারো
তার চেয়ে ঢের বেশি...
পূবের ঘড়ির কারুকাজ আর দক্ষিনের জানালার
লোহার শিকগুলোর ঘনত্বটা কিঞ্চিত বেশি।
তুমি আর আমি
ইচ্ছে করে তোমার আমার দু’হাতের আদরে আটকে যেতে?
উথাল পাথাল জোস্না রাতে নিরাভরণ দেহের আবরণ হতে!
আমার তো খুব ইচ্ছে করে তোমায় নিয়ে নাও ভাসাতে,
ঘাসের চাদরে তোমায় জড়িয়ে নিকষ আঁধারে তারা গুনতে
জল নামলে নামুক গে ভয় পাই না মেঘের ডাক
আমার তো তুমি আছো, ভিজবো দুজনে কেউ না থাক
তাকিয়ে থাকো নয়ন মেলে করতল জোড়া ব্যস্ত সাজে
মন হারিয়েছো সেই কবেই তুমিও হারাও আমার মাঝে।
তোমার জীবন আমি আর আমার ভুবন তুমি,
গাঁ ছুঁয়ে বলেছিলাম ছেড়ে যাবো না কোনো দিনই।
এমআরএম/এএসএম