ভিডিও EN
  1. Home/
  2. সাহিত্য

অনিন্দ্য নূরের তিনটি কবিতা

সাহিত্য ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:৩২ পিএম, ০৪ নভেম্বর ২০২৩

চলেই গেলে

তোমাকে বুকের মধ্যেই পাওয়া হলো না
হেমন্তের জ্যোৎস্নার মতো চলে গেলে—
কোজাগরির চাঁদ দিগভ্রান্ত জোনাকির
হয়ে ঢলে পড়ে—আধোঘুমো পৃথিবী ’পর।
সমস্ত নক্ষত্র জ্বালিয়ে কত আয়োজন—
পৃথিবীর সমস্ত বর্ণ দিয়ে তোমায় করুণ নিমন্ত্রণ।
এক প্রাণ দীপ্ত টিপ তোমার কপোলে
জীবন উপসংহারে চাই—হে অপ্সরী।

ঢের হয়েছে—এখন আরাধনায় খুঁজে প্রাণ—
শিউলি ঝরা ধবধবে সাদা চিঠিতে ভরে উঠোন।
দিন-রাত অধ্যায় আর পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায়
মহামিলন; মৃতুর প্রজাপতির ভেলায়।
অভিলাষ ভরা এই রঙিন উপখ্যানে—
তুমি-আমি চিহ্ন রেখে যাই—মহা প্রস্থানে।

****

দেউলিয়া তুমি

তোমাকে ছাড়া এ শহরও বড্ড দেউলিয়া—
তোমার নিঃশ্বাস, ভীরু পায়ের পদধূলি
ফুচকার প্লেট, গ্লোরিয়া জিন্সের কফি
রবীন্দ্র সরোবরের কংক্রিটের আসন
—এ শহর নিলাম তুলেছে!
শহরটা, মায়াভরা বেদনার কথা—এই রাতের
আঁধারের খামে ভরে আমার শূন্য বুকে পোস্ট করে গেল!
তুমি নিখোঁজের বিজ্ঞপ্তিতে ছেয়ে গেছে শহর—
প্রেমিক-প্রেমিকার সন্ধানদাতারা
ভিড় করছে অলিগলিজুড়ে!
অতঃপর তুমি আমি এক গ্লাস জ্যোৎস্না নিয়ে
মুখোমুখি বসবো ধানমন্ডি লেকে, ক্লান্ত চোখে!

****

অন্ধ যুদ্ধের চিত্রকর

বিশ্ব বিধাতা নিভৃতে এসো অন্ধ আদালতে—
এখানে বিষম অনাচার, আর্তচিৎকার, ব্যেপে ফেঁপে উঠছে
উদর ভর্তি বারুদের বাষ্পরুদ্ধ প্রাণ।

জীবিত, মৃত আর অর্ধমৃত কণ্ঠে ভয়াবহ প্রতিধ্বনি
কিংবা প্রবল অপেক্ষা—শুধু মহাকাল ধরে
বাঁচার আকুতির চিরকুটে রক্ত লাল ঈশান।

ইরানি গোলাপ ভরা উদ্যান অভিশাপে পুড়ে গেছে—
মৃগনাভির সৌরভে বাসি মৃত গন্ধের অবগাহন
অতৃপ্ত স্বপ্নজুড়ে শুধু ধ্বংসের অভিলাষ।

উন্মত্ত প্রশান্তের ঢেউ আছড়ে পড়ে নাভিশ্বাসে—
শরীরবৃত্তের অস্থি-মজ্জা নিলামে তুলে
তোমার আমার বেওয়ারিশ লাশ।

জ্যোৎস্নার আলো সাইরেনের সতর্ক হেডলাইন—
কংক্রিটের চাঁদ ধসে গেছে শত্রুর মিসাইলে
বোমা বর্ষণে—চির সবুজ, রক্ত লাল কার্পেট অতঃপর!

ক্লিওপেট্রা, মোনালিসা থেকে ভ্যান গগের দৃশ্যপট—
ব্যর্থ; আজ ফিলিস্তিনের শহীদের অস্থি আর রক্ত দিয়ে
বক্ষে বক্ষে এঁকেছি অধিকারের চিত্র—হে মহা চিত্রকর।

এসইউ/

আরও পড়ুন