ভিডিও EN
  1. Home/
  2. সাহিত্য

তাশফীয়া কাফীর কবিতা

একটা জন্মদাগ এবং শ্যামগুলাব

সাহিত্য ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:১৩ এএম, ০৩ নভেম্বর ২০২৩

একটা জন্মদাগ

বসন্তের বাতাসে নাকি কুয়াশা ভেসে যায়?
শীতের সকালের কুয়াশা!
বসন্ত কি আদৌ এসেছিল?

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা নাকি এখন বিষাদসুর বাজায়?
বাঁশিকে দোষ দিচ্ছো নাকি বাঁশিওয়ালাকে?
সোডিয়াম লাইটে নাকি আজকাল পথ দেখা যায় না?
দেখা যায় না নাকি দেখতে চাও না?

আকাশের সবচেয়ে বড় তারাটা কোথায় বলো তো?
বারান্দার চড়ুইটা এখন কোথায়?
ধানক্ষেতের বকটা?
যার হাঁটার ধরন নিয়ে মজা লুটতাম।

চা বাগানের সব চা পাতায় নাকি স্বাদ কমে গেছে?
তাই বলেই কি নিয়ম করে তিন বেলার চা বন্ধ?
পাহাড়ের গায়ের নদীটা নাকি বিলীন হয়ে গেছে?
নদীর জন্য মন পোড়ে বলেই পাহাড়ে যাও না?

সব ক’টা শোপিস নাকি ভেঙে গেছে?
ছবির ফ্রেমের কাঁচ নাকি পায়ে লাগছে?
আমারটায় তো আলো জ্বলছে!

সকালে নাকি বেলি ফোটে না এখন আর?
নাকি সন্ধ্যায় ফুলগুলো ঝরে যায়?
অনুমতির ভয়ে নাকি ডায়েরিটাও ধরো না?
মেঘমুক্ত আকাশ কি আর ভালো লাগে!

আমার একটা জন্মদাগ আছে জানো?
এখন তা অবশ্য অনুপস্থিতির দাগ।

****

শ্যামগুলাব

শ্যামগুলাব তুমি
পরিশুদ্ধ হতে চেয়েছিলে
যাতনা তোমারে বিসর্জন দেয়
বিসর্জন শুধু দেবীরই হয়।

এই আমজীবন তোমার জন্য নয়
তুমি কারুকার্য শোভিতা।
সরে যাওয়া টিপকে যেতে দিয়ে
রুক্ষ্ম কেশের বাঁধন খুলে ফুল ঝরাও।

এই বিভ্রান্তির জীবন তোমার জন্য নয়
তুমি সন্দীপক তটিনী।
মরে যাওয়া নদীকে প্রাণ দিয়ে
অর্ধজীবিত হয়েও বহুদূর বয়ে যাও।

তুমি শিল্প তুমিই শিল্পী
অবজ্ঞায় চরণও দিয়ো না,
তুমি আরাধ্য তুমি মহামায়া
পুষ্পাভরণে সাজবে জন্মান্তরে।

এসইউ/

আরও পড়ুন