আরিফ হাসানের গুচ্ছ কবিতা
আমার ভেতরে যা ঘটে তা ঘটনা,
তুমি যা বলো শুধুই রটনা লাগে।
আমি দু’পা এগিয়ে যাই না পেছানোর দম্ভে;
বিকট হাসি পায় তোমার বাম-ডান অজুহাতে।
আমি মনে-প্রাণে তোমার কালামানিক,
তুমি ভাবো আমি বাস্তবতার ফিনিক্স।
২.
পেয়ে হারিয়ে ফেলে যে, সে প্রেমিক।
বারবার পেয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে যে, সে পুরুষ।
পুরুষ প্রেমিক হলে পাহাড় হয়...
পাহাড় শক্ত হয়, সবুজ হয়, আলো হয় আলো;
প্রেম পাহাড় আর পুরুষ হেরে যায় না।
প্রত্যেকটা প্রেমিক পুরুষের বুকে কদম ফোটে,
সমাজ সেই কদমকে ক্যাকটাস বানায়!
৩.
বেশ্যারা বেশ ধরে দেহ দিয়ে টাকা চায়
টেবিলের এক ফাইল অন্য টেবিলে টাকা চায়
কবি গোলাপি মাংসপিণ্ডের পূজারী,
কর্তার চোখে কবি প্রেম-কাম-তাপহীন।
কবি বলেন এন্টিসেপ্টিক চুমুর কথা
কর্তা জিজ্ঞেস করলেন, টাকার নোটে ফুটো কেন?
তখন কবি ঠোঁট বুক আর চোখের তৃষ্ণায় কাতর;
কর্তা বললেন, কবি তুমি অসামাজিক, তুমি অশ্লীল।
৪.
বলছে সবাই শিক্ষা গেলো, ধর্ম গেলো, সমাজ গেলো
পঁয়ত্রিশ বসন্ত শুধু এই যাওয়াটাই দেখলো সমাজ।
কোনো গ্রীষ্ম বা শীতে সমাজে নতুন কিছুই কি আসেনি?
আলো বা ভালো আমাদের সবকিছুই শুধু যায়,
আসে শুধু অন্ধকার! আসে ব্যর্থতা গ্লানি আর হতাশা!
আচ্ছা, আমাদের সবকিছু এমন চলে যায় কেন!
৫.
নদীর জলে পা চুবিয়ে যারা সাগরের অনুভূতি পায়
নেশাগ্রস্ত চোখে যারা বলে ভালোবাসি
গভীর ঘুম ভেঙে সতেজে গোলাপ হাতে প্রেম খোঁজে
তাদের প্রেমিক বলা যায় কি?
তৃপ্তির ঢেকুরে তিন বেলা ভাত খেয়ে প্রেম জমে?
দ্বন্দ্বহীন হতাশাহীন মানুষ কি প্রেমিক হয়?
যে বলে সে সুখে আছে, ভালো আছে।
সে প্রচণ্ড অপ্রেমিক আর প্রতারক...
এসইউ/