জুবায়ের দুখুর চারটি কবিতা
এবং
এবং রাত নেমে এলো
অন্ধকারে খুঁজি–
আমার ভুল ভরা স্মৃতির নোঙর।
দেশলাই কাঠি দিয়ে
পুড়িয়ে দেওয়া মেহগনি পাতা জানে
যন্ত্রণা কেমন কেমিক্যাল রোগ।
তুমি আমার শেষ বাসনা
কেউ জানলে জানুক ভাঙা পালকের ব্যথা।
কেমন করে জ্বলছে–
আমার লাশ চিতায় একা একা।
****
সেতারার সুর
ক্লান্ত দুপুর–
তোমাকে দিলাম মায়ের নূপুর।
আমাদের সংসারের ওপাশে
কারা যেন বাজায় বেদনার সেতারা;
সেই সুরে উড়ে আসে পাখিরা
মা ওদের ভাত দেয়–
চেয়ে দেখি আমাদের সংসার ইটখোলা বাড়ির মতো,
ধসে ভেসে যায় মায়ের চোখের জলে।
****
শালিখ বৃত্তান্ত
ধানের গ্রামে শালিখিয়া পাখি আমার
উড়ে উড়ে বেড়ায় উঠোনে তেপান্তরে।
তারপর ফুলবনে–
আমাদের অশ্বত্থের ছায়ায় ঘুমিয়ে পড়ে এতিম পাতারা।
পুড়ে যাওয়ার গন্ধে জেগে উঠি
উঠোনে উঠোনে জোছনা রাতে কে যেন ডেকে যায়।
আমাদের মায়ের চুড়ি জোড়া
বন্ধক রাখার টাকা গোছাতে গিয়ে আব্বা গত হলেন।
সেই থেকে আমরা ধানশালিখ পাখি
সেই থেকে আমরা উঠোনে তেপান্তরে ঘুরে বেড়াই খাবারের খোঁজে।
****
নয়নতারা ফুল
সন্ধ্যার নিকটে এসে মনে হলো
আমাদের সংসারের কথা–
রোগাক্রান্ত রোগীর মতো
হাসপাতালের বেডে শুয়ে শুয়ে গায় বিরহগীত।
এমন দুঃখের সীমানাজুড়ে
সব অসুন্দরের ভেতর–
তুমি যেন একটা নয়নতারা ফুল।
এসইউ/এমএস