আনিস ফারদীনের কবিতা
বয়ে চলা নদী এবং কী ভীষণ ঝড়
বয়ে চলা নদী
কত বছর যাবৎ বয়ে চলছে এ নদী
শত-সহস্র বছর!
না আরও বেশি সময়?
কেউ জানে না, জানে না নদীও!
জানে না ভাসমান নৌকা,
সাঁতার কাটা মাছ, পানকৌড়ি
কিংবা আকাশের শঙ্খচিল।
জানে না মাঝি-মাল্লা, জেলে
নদীপাড়ের মানুষ
জানে না কবে থেকে ছুটছে এ নদী।
অনন্ত যৌবনা হয়ে বয়ে চলছে নিরবধি
বেলা কিংবা অবেলায়
সুদিনে কিংবা দুর্দিনে!
যেন এ হৃদয়ের মতো;
যেখানে অগ্ন্যুৎপাতে ক্রমাগত দহন
চৌচির হয় সমস্ত ভাবাবেগ, কল্পনা
ঝড় বয়ে যায় তীব্র গতিতে।
****
কী ভীষণ ঝড়
ঝুম বৃষ্টি
পাহাড়ি রাস্তায় ত্রিপলের ছাউনিতে ঘেরা দোকান
হাতে এক কাপ ধোঁয়া ওড়া চা
সাথে তুমি দাঁড়িয়ে
কী ভীষণ ঝড় বাইরে; ভেতরে।
গাছগুলো দুলছে বাতাসের সাথে
পানিতে ক্ষয়ে যাচ্ছে পাহাড়ি লাল মাটি
ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে একাকার পাহাড়ি ছেলেমেয়ে
তুমি তাকিয়ে ওইদিকে
আমি তাকিয়ে তোমার দিকে।
নিঃশ্বাস যেন ক্রমাগত বাড়ছে
বাড়ছে ঝড়ের গতিও
তুমি তখনো তাকিয়ে ঝড় দেখছো মুগ্ধ হয়ে
আর আমি তোমাকে
কী ভীষণ ঝড় বাইরে; ভেতরে!
এসইউ/এএসএম