মাসুদ চয়নের তিনটি কবিতা
তোমার উপকথা-১
তুমি ভালো আছো জেনেই ভালোবাসা অমরত্ব পাচ্ছে অসীম শূন্য জোনে—
অরণ্যের মতো উদার হতে শিখেছে স্বার্থান্বেষী পাখিটা,
অদ্ভুত সাদাসিধে জীবন হয়েছে।
প্রেম হয়ে উঠেছে সার্বজনীন উপমেয় রূপ,
প্রাণবিক জোয়ারে পরিশুদ্ধতা পাচ্ছে উদ্দেশ্য মনোরঞ্জন।
তোমাকে পেলে এসব কিছুই হতো না,
হতো না কবিতার মতো মহৎ দুঃখগাথা,
হতো না একা পথ চলা পাখিদের দুষ্প্রাপ্য জীবনীশক্তি নিজেতে ধারণ করা,
তুমি অনন্য এক জীবন দান করেছো হে—
যে জীবনে ভরপেট দুঃখ খেয়েও আনন্দে বেঁচে থাকা যায়—
ভালোবাসার জন্য তোমার বিকল্প আর কাউকে লাগে না।
****
তোমার উপকথা-২
নীল প্রতিসাম্য ব্যথা, অদৃশ্য ছায়ার মতো নির্বিঘ্নে ঘণ্টা রেণুতে বেজে ওঠে,
ভীষণ কণ্টকাকীর্ণ দুপুরগুলো পিছু পিছু হাঁটে—
শিরা-উপশিরায় তীব্র জ্বালাতন তোলে—
বুকের গহীনে সাঁতরায় স্মৃতি রোমন্থন উপকথা,
শত-সহস্র যুগান্তকারী ব্যথা লিকলিকে প্রভাকরণ হয়ে যায়!
বিকেল ফুরিয়ে যায় বিষণ্ণতার ঝিমুনিতে,
সন্ধ্যা আসে নির্জন গন্ধের মতো—
অন্ধকারে তুমিময় ঘনকালো ঘোর মিটিমিটি হাসে,
আরও নিবিড় হয়ে ওঠে রাত্রি স্রোতে।
****
তুমি
শুধু তুমি—
চোখের তারায় অশ্রুসিক্ত আল্পনা তোমার
ছুঁয়ে দেওয়া যায় না
টেনে নেওয়া যায় না
শত শতাব্দীর লীন হয়ে যাওয়া ব্যথা
দেউলিয়া করে তোলে
মায়া ঘোরে, বিরহ পিঙ্গলে
ফিরে আসো রোজ...
সারারাত ঘুমহীন কাটে।
এসইউ/জেআইএম