ভিডিও EN
  1. Home/
  2. সাহিত্য

‘চাঁদপুরের লোকসংস্কৃতি’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা

সাহিত্য ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:০৭ পিএম, ০৯ আগস্ট ২০২৩

সেন্টার ফর হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচারাল রিসার্চের আয়োজনে ‘চাঁদপুরের লোকসংস্কৃতি’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টায় চাঁদপুর পৌর শহীদ জাবেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন লোকসংস্কৃতি গবেষক ডা. পীযূষ কান্তি বড়ুয়া।

চাঁদপুর পৌর শহীদ জাবেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন দৈনিক শপথের সম্পাদক ও লেখক কাদের পলাশ, ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও প্রবাসী লেখক জমির হোসেন জনি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন লেখক ও গবেষক মুহাম্মদ ফরিদ হাসান।

প্রধান বক্তা ডা. পীযূষ কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘সংস্কৃতি হলো আমাদের শেকড়। নিজের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানলে আমাদের পথচলা আরও অর্থবহ হবে। শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের কাণ্ডারি। তাই তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। লোকসংস্কৃতি আমাদের যাপনের অংশ। মূল্যবোধ ও বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত। লোকসংস্কৃতি কোনো একক ব্যক্তি সৃষ্টি করতে পারে না। সম্মিলিত যাপনের অংশ হিসেবেই লোকসংস্কৃতি গড়ে ওঠে এবং সমৃদ্ধ হয়। চাঁদপুরের নিজস্ব লোকসংস্কৃতি আছে। সেগুলো চাঁদপুরবাসীর সাংস্কৃতিক সম্পদ।’

আরও পড়ুন: তরুণ কলাম লেখক ফোরামের বর্ষসেরা লেখক আজহার

অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘আজকের আয়োজনটি অত্যন্ত অর্থবহ। শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চা করা আমাদের দায়িত্ব। সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিতে লোকসংস্কৃতির বিকাশে আমাদের কাজ করা উচিত।’

‘চাঁদপুরের লোকসংস্কৃতি’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা

দৈনিক শপথের সম্পাদক কাদের পলাশ বলেন, ‘সমাজে নানারকম লোককথা, লোকবিশ্বাস, প্রবাদ-প্রবচন প্রচলিত আছে। অনেকেই জানেন না, আমাদের বহু চিন্তা ও কাজ লোকসংস্কৃতিকে ধারণ করে আছে।’

সাংবাদিক জমির হোসেন জনি বলেন, ‘আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির কারণে লোকসংস্কৃতির অনেক উপকরণ হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা একসময় চাঁদপুরে নকশিকাঁথা, হাতে লেখা পোস্টার, যাত্রাপালা, আল্পনা দেখতাম। যা এখন দেখা যায় না। লোকসংস্কৃতি সংরক্ষণে ও বিকাশে তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে কাজ করা উচিত।’

আরও পড়ুন: চাঁদপুর স্টেডিয়ামে লেখকদের প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চাঁদপুর পৌর শহীদ জাবেদ স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও কবি ম. নূরে আলম পাটওয়ারী। স্কুলের নবম-দশম শ্রেণির পঞ্চাশজন শিক্ষার্থী আয়োজনে অংশগ্রহণ নেয়। শেষে শিক্ষার্থীদের জন্য জমির হোসেনের ‘জীবনের যত গান’ গ্রন্থের ২০ কপি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এসইউ/জেআইএম

আরও পড়ুন