আনিস ফারদীনের যুগল কবিতা
ব্যঞ্জনার কবিতা এবং তুমি
মাদকতার মুগ্ধতায় ঝরে চলে বৃষ্টি
ক্ষয়হীন প্রেমের অচল পথ ভাসিয়ে দেয়;
নিঃশ্বাসের পাহাড় জমে এই বুকে
আমার বেলকনিতে দাঁড়ায় ব্যঞ্জনার কবিতারা।
নৈঃশব্দের স্মৃতিগুলো এসে দাঁড়ায় সামনে
হাত বাড়িয়ে ভিজে যাই সেই বৃষ্টিতে;
আনমন আলাপনের ভিড়ে এসে যায় কেউ
বকুল ভিজে যায় গন্ধ বিলিয়ে।
এলোমেলো চুলে খাপছাড়া মেহেদি হাত
আবেগের সর্পিল স্রোতে ভেসে যায় রোজ;
না বলা কথায় অজস্র উপমা
বৃষ্টি ঝরে আনমনে কবিতার গন্তব্যে!
****
যাযাবরের পথ
ভুলগুলো জাপটে ধরে, এলোমেলো হয় সব
ইচ্ছেরা বন্দি হয়ে পড়ে ঘোর অমানিশায়;
শূন্যে ভেসে যায় যতসব চাওয়া-পাওয়া
নিদারুণ ব্যথায় বিদীর্ণ যেন বিষণ্ন হৃদয়।
যাযাবরের পথ হয়ে ওঠে অগত্যা স্তিমিত যাত্রা
কালের খেয়ালে মরে যায় যতসব ইচ্ছেরা;
ব্রাকেটবন্দি হয়ে হতাশায় মরে যায় সব
ভুলে ভুলে চলে জীবন, বাড়ে দেনা ভুল পথে।
আলো অস্ত যায়, আঁধারে ঢেকে যায় বিস্তর
খেয়াঘাটের খেয়া ছেড়ে যায় একা ফেলে;
ব্যস্ত শহরের অচেনা গলিতে থামে দুই পা
শুধু থেকে যায় দীর্ঘশ্বাস, যা পুড়ে যায় অবিরত।
এসইউ/এমএস