ভিডিও EN
  1. Home/
  2. সাহিত্য

মাসুদ চয়নের দুটি কবিতা

সাহিত্য ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:২৬ পিএম, ০৭ জুন ২০২৩

প্রশ্রয়

খুব কাছে ফাঁসির মঞ্চ-আহত দেওয়ালের টেরাকোটা স্তম্ভ;
নিপতিত হতে যাচ্ছি,
অগণিত অপরাধের সারবস্তু যেহেতু,
এই তো পতিত হচ্ছি,
অপমৃত্যু নয় বরং ন্যায়ের প্রলম্বিত উপকরণ হতে চলেছি,
নিরপরাধীরা ইদানীং ফাঁসির মঞ্চে ওঠে,
আমি উঠলে দোষ কোথায়!
অপরাধের পাহাড় সমান আমিত্ব,
অপরাধকে প্রশ্রয় দেওয়ার অপরাধ...
সেই অপরাধে অভিযুক্ত,
আপনারাও ফাঁসির মঞ্চে উঠে পড়ুন,
দ্রুত!
দ্রুত!
সময় খুব অল্প!
টর্নেডোর গতিতে উঠে পড়ুন!
চারদিকে কলঙ্ক ঝড় প্রবলভাবে ঘণীভূত হচ্ছে,
অমানবিক কলঙ্কগুলোকে মুছতে হবে,
মানবিক ফুল চারাগুলোকে বাঁচাতে হবে!

****

সরাব সাগরের ঢেউয়ে

খুব অলস একাকী এই নির্জন রাত্রি-
নক্ষত্রের ঠোঁটে গেরুয়া রঙের আল্পনা এঁকেছে নীল জোয়ারের হাতছানি;
মুছে যচ্ছে ঘাস লতাময় ব্যথা বিম্ব,
বিবর্তন পিয়াসী মনন তৈরি হচ্ছে অন্ধকারে,
নির্দিষ্টভাবে একটি বিন্দুতে স্থবির আকাশ নক্ষত্র ও আমি;
রাত্রির চোখে কপোলে চুমু আঁকছি নির্ভরতায় আশ্বাসে-
চুমু আজ দুষ্প্রাপ্য প্রাপ্তি বটে!
চুমু শিল্পের প্রচার অস্তগামী সূর্যের অবয়ব,
ভরাট অহমের নিসাড়তাই শুধু চোখে পড়ে-
চুমুকে পাপ মুহূর্তের তিষি তিলক ভাবছে সবাই;
তাই নান্দনিকতার সঙ্গম ঘনিষ্ঠ হয় রাতের সঙ্গে,
আকাশের সঙ্গে,
নক্ষত্র চাঁদের সঙ্গে।
রাত্রি পোড়া মৈথুন ঢেউ শরীরে সঞ্চারিত হচ্ছে,
খুব ধীরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে ধ্যান সিদ্ধিযোগের রাজ্যে-
চাইলেই লুফে নেওয়া যাচ্ছে নিঃসর্গ প্রণয়ন,
পিছুটানে প্রহরী আংটা খালাস হচ্ছে,
সরাব সাগরে ডুবে ডুবে খাঁটি হচ্ছে কংক্রিট চৈতন্য-
তুমি চিহ্নের পত্র ঝরা বৃক্ষের মুহূর্তগুলো বেদনা লেপন করছে না এখানে...

এসইউ/এমএস

আরও পড়ুন