ফেরদৌস জান্নাতুলের চারটি কবিতা
হকার
যেখানে নেমেছে রাত
ডুবতে ডুবতে অন্ধকার এক
জড়ায় তাবৎ উষ্ণতায়।
এখানে সূর্য প্রেম দেয়, মানুষে মানুষে বিদ্বেষ;
হা-এর ভেতর মহাসমুদ্র, মহাআহ্লাদ, মহামাতম
মেঘ দৌড়ের খেলা শেষে দেখি
চলছে উন্মোচনের কপাট খোলার মৌসুম।
****
গতি
অগ্রসর হচ্ছে অতিদ্রুত নৃত্যরত মুহূর্ত
গতির দুয়ারে পাহারায় শান্ত পতঙ্গ।
আমাদের সামনে এখন বিবিধ প্রকাশ
ছদ্ম পোশাকে বাহারি নৈর্ব্যক্তিক
খাঁচা বোঝে অহরহ পাখির পদধ্বনি
কেননা এটাই ধ্বনি নকশার প্রাথমিক খসড়া;
যার থেকে অস্তিত্বমুখ অঙ্কুরের দিশা পাবে
এই ভাদ্রে, এই আসন্ন আশ্বিনের গন্ধে।
****
পার্থিব
যা কল্পনায় উঠে আসে
অর্ধেক সৌন্দর্যের একেবারে কোণঠেসে-প্রবল খাঁদ-
উপলব্ধ জাগ্রত রশদশালা
কাব্য করে একদিন ঢুঁ মারা অনুসন্ধিৎসু চোখ।
ভেল্কির শহরজুড়ে নৃত্যগীত
পার্থিব নেশা, দেশীয় আলাপনের সরঞ্জাম-
আবিরে পার করে সময়।
ঘস্ত ধৌতের তুমুল বর্ণনা
স্নান থেকে বহুদূরে
বিশদ রণকৌশল, সজ্জায় বেঘোরে মাতে
****
ধনুক
তাঁকিয়ে দেখি, ধূপবাতি নিভে যায়
ইঙ্গিতের ছল বোঝে না আর মানুষ
দেবতা লজ্জায় নিস্ফলা ফুঁ দিলে
বনের পাখিরা এই ঘরে, অচেনা সত্তার ফিতা কাটে।
এসইউ/জেআইএম