সৌমেন্দ্র গোস্বামীর দুটি কবিতা
শ্রদ্ধার্ঘ্য
এই কবিতাটি কার জন্য?
কাকে লিখে পাঠাব কথার শিলালিপি
স্নেহের করতল কে গড়বে,
প্রান্তরে প্রান্তরে সবুজ শরৎ বনের মতো
কাকে লিখব শীতের চিঠি?
উত্তর হাওয়ায় ভেসে যাওয়া তুলোর ফুলে
কোন গম্ভীর সুর এঁকে দিলে
ফিরে আসবে কথার ঐকতান
যে বলবে, যে জাগিয়ে দেবে জীবনের গান
এই কবিতাটি তাঁর জন্য,
স্নেহের করতলে সে ছাড়া কে ঠাঁই দিতে পারে!
এই কবিতাটি তাঁর জন্য,
জীবনের রথে যে আলো দিতে পারে
এই কবিতাটি উত্তম রায়ের জন্য,
এই কবিতাটি দাদার প্রতি ভাইয়ের শ্রদ্ধার্ঘ্য।
****
অশ্রুময় অন্ধকার
তোমার শেষ হলে অন্য কেউ শুরু করবে
আকাশেরও সীমাবদ্ধতা আছে
তোমাকেও থামতে হবে, দাঁড়াতে হবে
শীত বৃষ্টির আক্ষেপে পর্যুদস্ত মনকে নিয়ে
পাটিসাপটার আয়োজনে এগিয়ে দিতে হবে দু’মুঠো চাল
কৃষাণির কানের দুল বন্ধক থেকে গেলে
বৃথা সে পৌষ পার্বণ
বৃথা সেই আয়োজন, যেখানে লাবণ্যময় সৌরভ নেই
তুমি কেবল তুমিময়; সোনার হরিণ মনে
খ্যাতির মোহে সুযোগ ধরে উপরে উঠে যাও
চারপাশে নিঃস্তব্ধ শূন্যতা নিয়ে মিথ্যে করতালির ছন্দে
নিজেকে মহিমান্বিত ভাবো; তবে এখনই সময়-
থামার, থামবার, নিজেকে নিয়ন্ত্রণের
মনে রেখ, আকাশেরও সীমাবদ্ধতা আছে
অশ্রুময় অন্ধকারে মেঘের দিনে
সে পৃথিবীর কাছে কৃতজ্ঞতার ঋণ শোধ করে।
এসইউ/এমএস