বিজয়ের তিনটি কবিতা
পতাকা, আমাদের গৌরব
একটি পতাকার কাছে আমরা ঋণী—
যুদ্ধ, খুন, লুট, নারীত্ব বিসর্জনে
এ পতাকা—
লাল-সবুজ—আমাদের গৌরব।
সেদিন অনেক পতাকা ছিল
শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় কেঁদে ওঠার মতো
আনন্দে কেঁদেছিলাম আমি পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইল।
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে
এ পতাকা শুধুই আমার।
****
বিজয়, তুমি ভালোবাসার স্মারক
১৬ ডিসেম্বর, আমরা তোমাকে ভালোবাসি
তুমি ছাড়া আর বড় কিছু আছে কী!
আমরা তোমার কাছেই ঋণী
এরকম ভালোবাসা আর কেউ দিতে পারেনি!
নয় মাসের পাহাড় আগলে রাখা—
রক্তারক্তি, সম্ভ্রম লুট, আশ্রয়হীন হয়েও
তুমিই বড় উপহার, বৃহত্তম ভালোবাসার স্মারক।
****
ওহ, স্বাধীনতা
সোনারোদ বলে ওঠে, স্বাধীনতা
শীতরোদ মেখে শিশু বলে, স্বাধীনতা।
মুক্ত বিহঙ্গের ধূসর ডানায়
সোনা ঝিলিমিল
বলে, ‘এসো, স্বাধীনতা’।
সোনা-অক্ষরে স্বাধীনতা
শাপলা হেলেঞ্চা পদ্মর জলে স্বাধীনতা
দোয়েলের শিসে স্বাধীনতা।
পোয়াতি বউ, আসাদের শার্ট, মতিউরেরা
বেলে মাঠ, জ্যোৎস্নামাখা সোনালি ক্ষেত
পদ্মা-ধরলা-কর্ণফুলীর কলধ্বনি
স্বাধীনতা-স্বাধীনতা।
সুন্দরবন, কক্সবাজার, থানচি
জকিগঞ্জ, টেকনাফ, তেঁতুলিয়া, শ্যামনগর
কোরাস সুরে গেয়ে ওঠে,
স্বাধীনতা-স্বাধীনতা।
এসইউ/এএসএম