আব্দুল্লাহ জুবায়েরের তিনটি কবিতা
প্রস্থানে কি সমাধান
নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই নিজেকে বিদায় জানানোর তীব্র বাসনা
ভুল আর অপ্রাপ্তির সংসারে অতিসত্বর শুদ্ধতা আর প্রাপ্তির সন্ধানে
অনুসন্ধান অপেক্ষা আত্মাহুতিই বড় হয়ে ধরা দিলো আপন সত্তায়।
মৃত্তিকায় ধ্বনিত হবে স্রষ্টার নিষেধাজ্ঞা, স্বজনের নিঃশেষ আহাজারি,
যার কোনো কিছুই দমাতে পারে না স্বেচ্ছায় ধাবিত মৃত্যু পথযাত্রীকে।
ব্যাপারটা দেড় বছরের শিশুসন্তানের নিজ মুত্রে হাত ভেজানোর উচ্ছ্বাস।
লাল রঙে রাঙা রক্ত নদের ওপারে প্রস্ফুটিত গোলাপ পুষ্পের বাগান।
জীবনে বাকি ছিল দেখার অনেক কিছু, পারি দেওয়ার অনেকটা পথ।
তবে কেন এত তাড়াহুড়া, যেখানে দিনক্ষণ নির্ধারিত চলে যাওয়ার।
****
প্রেমকাব্য
তোর ছায়াতে খুঁজি আমি আলো চলার পথে
দিবানিশি তোকে নিয়ে হাঁটবো তেপান্তরে।
হলে বৃষ্টি ভিজবো দু’জন কাকভেজা হয়ে
জড়িয়ে ধরে আলতো করে ছুঁয়ে দেবো তোকে।
হোক না আজ ভিন্ন কিছু হয়নি যা আগে।
তোর আমার প্রেমকাব্য জানে জানুক লোকে।
তোর আমার প্রেম কাব্য জানে জানুক লোকে।
তোর মনের আকাশজুড়ে উড়বো হয়ে ঘুড়ি
রংধনুর রঙে লিখবো তোকে ভালোবাসি।
রাখবো ধরে নাটাই হয়ে ভালোবাসার টানে
যত খুশি দেখবো আমি প্রেমের শহরটাকে।
সব ভুলে আয় না কাছে সবটুকু দে ভালোবেসে।
তোর আমার প্রেম কাব্য জানে জানুক লোকে।
তোর আমার প্রেম কাব্য জানে জানুক লোকে।
শেষ বিকেলের আধো আলো আনবে ডেকে আঁধার
তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে তুই থাকবি হয়ে আহার।
ভালোবাসার লেনাদেনায় রাখবো না কো বাকি
যখন খুশি আমায় ডেকে কাছে তুই পাবি।
তোর চোখের ওই জাদুঘরে আমায় নে আপন করে
তোর আমার প্রেম কাব্য জানে জানুক লোকে।
তোর আমার প্রেম কাব্য জানে জানুক লোকে।
****
এ কেমন জীবন
আমি মানুষ তুমি মানুষ মানুষে মানুষে খেলা
এ কেমন জীবন মাওলা, সবই লাগে মিছা।
রঙিন এই দুনিয়ার সবই রঙের খেলা
কেউ বুঝে খেলে আর কেউ বোঝে না।
এ কেমন জীবন মাওলা, সবই রঙের মেলা।
সত্য উদঘাটনে যখন ঘটনা হয় গোপন
সবই টাকার কাছে দেয় আত্মসমর্পণ।
এ কেমন জীবন মাওলা, সবই স্বার্থে ঘেরা।
মাতা-পিতার শনে সন্তান করে অসদাচরণ
পরিশেষে বৃদ্ধাশ্রমেই তাদের আবাসন।
এ কেমন জীবন মাওলা, শেষবেলায় বক্ষব্যথা।
প্রিয়তমার বিশ্বাস, প্রিয়ার শত আশ্বাস
দিন গড়াতে অনুভূতির সবই হলো দীর্ঘশ্বাস।
এ কেমন জীবন মাওলা, ধোঁকায় হলো সর্বহারা।
আমি মানুষ তুমি মানুষ মানুষে মানুষে খেলা
এ কেমন জীবন মাওলা, সবই লাগে মিছা।
এসইউ/এএসএম