সাজেদুর আবেদীন শান্তর গুচ্ছ কবিতা
গুনাহগার প্রেমিক
পৃথিবীর বিবর্তনের উপর টিকে আছে
তোমার চোখ, মুখ
তোমার ঠোঁট ছোঁয়ার আগেই
তুমি উবে যাও কর্পূরের মতো
হয় না ছোঁয়া তোমায়
তোমার অন্তর্বাসের নিচে পৃথিবীর
নাগরিক হওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠি
রাষ্ট্রযন্ত্রকে পুঁজি করি
ভেঙে ফেলি শৃঙ্খল
হারিয়ে যায় প্রেমতন্ত্র
স্বৈরাচার হওয়ার আগেই
তোমার বুলেটে বিক্ষত হয় আমার দেহ
আমি পাপি, আমি গুনাহগার
জমজমের পানি পান করতে করতে
হার মানি মৃত্যুর কাছে
পাওয়া হয় না তোমাকে
পাওয়া হয় না তোমাকে
মৃত্যুরূপ দেখতে দেখতে ত্যাগ করি ইহলোক
****
ভালোবেসেছিলাম
পৃথিবীর সামান্য আলোতে
তোমার চুলের আবডালে
তোমার মুখ যেদিন দেখেছিলাম
সেদিনই তোমায় ভালোবেসেছিলাম
হরিণী চোখের কোটরে
ঘন মেঘের মতো কালো
কাজল, দেখেছিলাম যেদিন
ঠিক সেদিনই তোমায় ভালোবেসেছিলাম
তোমার কপালের দিগন্তে
নীল টিপ, যেদিন দেখেছিলাম
সেদিনই তোমায় ভীষণ
অসম্ভব রকমের ভালোবেসেছিলাম
তোমার ঠোঁটের উষ্ণ,
আর্দ্র অভিবাদন
যেদিন পেয়েছিলাম
সেদিনই তোমাকে ভালোবেসেছিলাম
তোমাকে ভালোবেসেছিলাম
হেরে যাওয়ার দিন
তোমাকে ভালোবেসেছিলাম
মরে যাওয়ার দিন।
****
প্রাক্তন
এখনো কি ঘুম থেকে উঠে মোবাইল খোঁজো?
সকালের প্রথম মেসেজটা কি এখনো দাও?
দশ মিনিট পরপর ফোন দিয়ে বলো, ‘কী করো?’
আমার মেসেজের জন্য এখনো কি অপেক্ষা করো?
এক মিনিট রিপ্লাই দিতে দেরি হলে এখনো কি ফোন দাও?
এখনো কি কান্নায় ভারি করো মোবাইলের ওইপাশ?
এখনো কি বলো, আমি ছাড়া অন্য কাউকে জীবনসঙ্গী করলে মেরে ফেলবো?
এখনো কি অবচেতন মনে গভীর আলিঙ্গনে আচ্ছাদিত করো আমাকে?
এখনো কি অধিকার ফলাও আমার উপর?
এখনো কি...
এখনো কি...
জানি এখন আর এসব করো না,
কারণ আমি তোমার প্রাক্তন এখন।
এসইউ/এমএস