শিশুতোষ বইয়ের অলংকরণে পুরস্কার পেলেন ৫ জন
অমর একুশে বইমেলা ২০২২-এ ছোটদের জন্য প্রকাশিত সেরা পাঁচ বইয়ের অলংকরণের জন্য পাঁচ শিল্পীকে পুরস্কৃত করেছে শিশু সাহিত্যিক এখলাসউদ্দিন আহমদ ফাউন্ডেশন। আজ (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নির্বাচিত শিল্পীদের হাতে পুরস্কারের ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ তুলে দেন ইএমকে সেন্টারের পরিচালক ও এখলাসউদ্দিন আহমেদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য আসিফ উদ্দিন আহমদ, শিল্পী সব্যসাচী হাজরা ও শিশুসাহিত্যিক আশিক মুস্তাফা।
২০২২ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ৩৪১৬টি নতুন বই। যার মধ্যে প্রায় দুই শতাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে শিশুসাহিত্য বিষয়ক। এসব বইয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ তরুণ চিত্রশিল্পীদের হাতে আঁকা।
একুশে বইমেলা চলাকালে, ইএমকে সেন্টার, এখলাসউদ্দিন আহমেদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এবং চাইল্ড সেন্ট্রিক ক্রিয়েটিভ সেন্টারের সহযোগিতায় শিশু-কিশোর সাহিত্য বিষয়ক বইগুলোর শিল্পী ও চিত্রশিল্পীদের সচিত্র বই জমা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। দুইসপ্তাহব্যাপী চলা এই প্রতিযোগিতায় ত্রিশটিরও বেশি সৃজনশীল বই জমা পড়ে। বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ধ্রুব এষ এবং সব্যসাচী হাজরা প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রতিযোগিতায় হৃদিতা আনিশার ‘টিক টিক টিক’ বইটির অলংকরণকে সেরা হিসাবে নির্বাচিত করা হয়। বইটি প্রকাশ করেছে ইকরি মিকরি প্রকাশনী। মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা ও নাসরীন সুলতানা মিতুর ‘মিতু তিতুর স্পেসশিপ’ এবং রজত আল জাবিরের ‘হিজল গাছের ভূত’ যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেরা অলংকরণ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
এছাড়াও তরুণ চিত্রশিল্পী সানজিদা সামরিন এবং রকিবুল ইসলামকে তাদের অলংকরণ বিষয়ক কাজের জন্য বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়েছে। সানজিদা সামরিনের ‘ক্যামেরাটা সব জানতে চাইতো’ এবং রাকিবুল ইসলামের ‘ভূতের সাথে যুদ্ধ’ বইয়ের অলংকরণ করেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের শুরুতে ইএমকে সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আসিফ উদ্দিন আহমেদ, যিনি বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ও সম্পাদক এখলাসউদ্দিন আহমেদের ভাতিজা, তিনি তার চাচার সঙ্গে কাটানো বিভিন্ন সময়ের স্মৃতিচারণ করেন।
শিল্পী সব্যসাচী হাজরা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবেযুক্ত এই গল্পগুলো স্মৃতিচারণ করার জন্য আসিফ উদ্দিন আহমেদকে ধন্যবাদ জানান এবং সেই সঙ্গে নতুন প্রজন্মের শিশুসাহিত্যের লেখক ও চিত্রকরদের অনুপ্রাণিত করার জন্য ইএমকে সেন্টার এখলাসউদ্দিন আহমেদ ফাউন্ডেশন ও ফোরসিকে ধন্যবাদ জানান।
সমকালের সিনিয়র সাব-এডিটর, ফোরসির প্রেসিডেন্ট ও শিশুসাহিত্যিক আশিক মুস্তাফা, এখলাসউদ্দিন আহমেদ ও তার সাহিত্যকর্মের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন। তিনি আরও বলেন, ‘এখলাসউদ্দিন আহমেদের মতো সাহিত্যিকরা শুধু শিশুতোষ বই-ই লেখেননি, শিশুতোষ বইয়ের লেখকও তৈরি করেছেন।’
এই আয়োজন ভবিষ্যতে শিশুসাহিত্যের অলংকরণ শিল্পীদের অনুপ্রেরণা যোগাবে এমন বিশ্বাস আয়োজক প্রতিষ্ঠানের।
এমএমএফ/এমএস